শাহবাগে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, জলকামান নিক্ষেপ

আন্দোলনকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
আন্দোলনকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ  © টিডিসি ফটো

শাহবাগ অবরোধ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। পরে পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জলকামান নিক্ষেপের সময় কয়েকজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষককে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

নিয়োগপত্র ছাড়া ঘরে না ফেরার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

আরো পড়ুন: এখনও ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি ৪০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সপ্তম দিনের মতো শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাদের সরিয়ে দিতে জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। তবে পুলিশের ধাওয়া ও জলকামান উপক্ষো করেই শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে শাহবাগ মোড় ও সংযোগ সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার দুপুরেও তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। এছাড়া আটক করা হয় কয়েকজনকে। এরপর সেদিন সন্ধ্যার দিকে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে লাগাতার অবস্থান করবেন।

আরো পড়ুন: ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা বলেছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে প্রহসন চলছে।

আন্দোলনকারীদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬,৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি, এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।


সর্বশেষ সংবাদ