বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব কাগজপত্র আগেই হাতে রাখা জরুরি

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব কাগজপত্র আগেই হাতে রাখা জরুরি
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেসব কাগজপত্র আগেই হাতে রাখা জরুরি  © সংগৃহীত

গবেষণায় দেখা যায়, আমাদের ৪২ শতাংশ তরুণ বিদেশে পাড়ি জমাতে চায়। অধিকাংশই যাচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসায়। ১৮ বছর হলেই ব্যাচেলর করার জন্য একজন বিদেশে যেতে পারে। মাস্টার্স, পিএইচডি ও পোস্ট-ডক্টরাল প্রোগ্রামেও বিভিন্ন দেশে আমাদের তরুণরা যাচ্ছে। গত বছর ঢাকায় অবস্থিত আমেরিকান এম্বাসি প্রায় ৪৯ হাজার বাংলাদেশীর জন্য ভিসা ইস্যু করেছে; যার অধিকাংশই হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা।

আমাদের তরুণদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউএসএ, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, জার্মানী, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া। প্রত্যেকটি দেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেকটা একই ধরনের। হয়ত একটি বা দুইটি কাগজ দেশভেদে একটু ভিন্নতর হয়। 

একাডেমিক সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের যে একাডেমিক ক্রিডেন্সিয়াল সরবরাহ করে থাকে তা হুবহু বিদেশে উচ্চশিক্ষা আবেদনের ক্ষেত্রে খুব কমই বিবেচিত হয়। কারণ সনদের অতেন্টিসিটি ও সমতাবিধান বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ভাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভেরিফাইড সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্টের কপি চায়। এমনকি এগুলো আবেদনকারী নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাবে তার নিজস্ব সিল ও মোহরকৃত খামে। এক্ষেত্রে আবেদনকারী বিদেশের যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন করবে তার ঠিকানা সরবরাহ করে থাকে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক কোম্পানী কর্তৃক মূল্যায়িত কাগজপত্র চায়। কারণ বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় জানতে চাই আবেদনকারীর অর্জিত ডিগ্রি ইউএসএ বা কানাডার ডিগ্রির সমমান কিনা। এসব কোম্পানীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে WES, AES, ECE অন্যতম। দেশভেদে ইভাল্যুয়েশন প্রসেস আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বিদেশে অর্জিত ডিগ্রির সমতাবিধান সনদ প্রদান করে থাকে। সুতরাং, এইচএসসি, স্নাতক অথবা মাস্টার্স অর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই উচিৎ এগুলো ভেরিফাই ও প্রয়োজন অনুযায়ী ইভালুয়েট করানো।

জীবন বৃত্তান্ত (সিভি)
বিদেশে পড়তে গেলে প্রথমে যে কাজটা করার প্রয়োজন, সেটা হলো সুপারভাইজার ম্যানেজ করা। সুপারভাইজারের নিকট ই-মেইল পাঠাতে হলে সংযুক্তি হিসেবে পাঠাতে হয় আপডেটেড সিভি, রিসার্চ প্রপোজাল এবং ট্রান্সক্রিপ্ট। প্রফেসর সিভি দেখে এসেস করবেন স্টুডেন্ট যোগ্য কিনা। তাই সিভিটা হতে হবে আপডেটেড, প্রফেশনাল এবং ডিটেইল্ড। উচ্চশিক্ষার জন্য তৈরিকৃত সিভি হবে একাডেমিক উপাদানের নির্জাস। কারণ চাকরী আর শিক্ষার জন্য তৈরিকৃত সিভির মধ্যে প্যাটার্ন ও গুণগত পার্থক্য আছে। সিভিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখার সময়ে প্রথমে সর্বোচ্চ ডিগ্রি এবং ক্রমান্বয়ে নিম্নতম ডিগ্রির কথা উল্লেখ করতে হবে।

প্রফেসর প্রথমেই উচ্চতর ডিগ্রি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং অন্যান্য ডিগ্রি হয়ত তার দেখার প্রয়োজন পড়বে না। কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তা বর্তমানের পদ-পদবী আগে উল্লেখ করা দরকার। কোন পদে কি কি ধরনের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সিভিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের ফোন নম্বর ও ই-মেইল আইডি সংযুক্ত করা থাকলে প্রফেসর সহজেই যোগাযোগ করতে পারবে। এছাড়া আবেদনকারীর প্রতি তার আস্থাও বৃদ্ধি পেতে পারে। রিসার্চ ইন্টারেস্ট, সফ্ট ও হার্ড স্কিলসমূহের কথা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। রিসার্চের ক্ষেত্রে যে সকল সফ্টওয়্যার ব্যবহারের দক্ষতা থাকলে তা অবশ্যই সিভিতে উল্লেখ করা দরকার। প্রকাশনা, কনফারেন্স পেপার, ও প্রজেক্ট কন্ডাক্ট করার অভিজ্ঞতা থাকলে তাও সিভিতে দেখানো যেতে পারে। কোন এওয়ার্ড, বৃত্তি বা স্বীকৃতি পেয়ে থাকলে তা উল্লেখ করার ফলে সিভি শক্তিশালী হয়।

প্রফেশনাল মেম্বারশীপ এবং ভলান্টিয়্যারিং কাজের অভিজ্ঞতা পাশ্চাত্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুবই পছন্দ করে। তিনজন রেফারীর নাম-প্রোফাইল এবং তার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বিবরণ থাকা জরুরী। সিভি সাদা—কালো রঙের হওয়াটাই বাঞ্চনীয় এবং অফিসিয়াল ই-মেইল আইডি ব্যবহার করা উচিৎ। সিভি তৈরি করার জন্য অনেক ভাল ভাল সফ্টওয়্যার আছে, যা ব্যবহার করা যেতে পারে। পেইড ভার্সন টুল অবশ্যই ভাল সার্ভিস দেবে বলে আমি মনে করি।

যেমন: www.novoresume.com and www. zety.com- এগুলো পেইড ভার্সন। ফ্রি ভার্সন অনেক টুল আছে, যেগুলোর মান অনেকটা নিম্ন।

কাভার লেটার
কোথাও সিভি পাঠাতে হলে অবশ্যই তার সঙ্গে কাভার লেটার সংযুক্ত করা প্রয়োজন। কাভার লেটার থাকবে প্রথমাংশে এবং সিভি থাকে পরের অংশে। কাভার লেটার দু’রকমভাবে লেখা হয়ে থাকে: ই-মেইল কাভার লেটার এবং নন ই-মেইল কভার লেটার। ই-মেইল কাভার লেটার সাধারণত ছোট সাইজের (৫-৭টি বাক্য) হয়ে থাকে। অন্যদিকে ননই-মেইল কাভার লেটার বড় হয়ে থাকে। বড় কাভার লেটারের দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে এক পৃষ্ঠা, যার অনুচ্ছেদ হয়ে থাকে চারটি। সম্বোধন অংশে প্রথমে থাকবে আবেদনকারীর নাম, প্রোফাইল, মেইলিং এড্রেস এবং তারিখ। পরের অংশে থাকবে যার বরাবর লেখা হচ্ছে তার নাম, পদবি, বিভাগ, প্রতিষ্ঠানের নাম এবং মেইলিং এড্রেস। চারটি অনুচ্ছেদের প্রথমে থাকবে আবেদনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে একটি বাক্য। পরের বাক্যে পদের বিপরীতে নিজের যোগ্যতার কথা সার-সংক্ষেপ আকারে প্রকাশ করা। এই অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যে কোম্পানীর লক্ষ্য বাস্তবায়নের মানসে নিজের পরিকল্পার জানান দিতে হবে।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকবে পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতার পদবী উল্লেখ করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। কাজের সাফল্যের কথা উদাহরণসহ উল্লেখ করা দরকার। পূর্ববর্তী কোম্পানীর উন্নয়নে কত পারসেন্ট বা কত সংখ্যক পরিমাণ অবদান ছিল তা সাবলীলভাবে প্রকাশ করা। এগুলো সবই হবে আবেদিত পদের জন্য প্রযোজ্য। তৃতীয় অনুচ্ছেদে থাকবে পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। আবেদিত পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোর্স, ইন্টার্নশিপ, থিসিস, প্রকাশনা ইত্যাদি উদাহরণসহ উল্লেখ করতে হবে। এই শিক্ষাটা আবেদিত পদের সঙ্গে কিভাবে ম্যাচ করে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া প্রয়োজন। শেষ অনুচ্ছেদে প্রফেসরকে বিবেচনা ও ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ জানানো। সুপারভাইজারের নিকট হতে উত্তর পাওয়ার প্রত্যাশা জানানো। এমনকি ঐ প্রতিষ্ঠানে কাজ করার দৃঢ় আগ্রহের কথা আবারও জানানো দরকার। শেষে থাকবে স্বাক্ষর এবং নাম।

আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যেমন প্রস্তুতি দরকার

রিসার্চ প্রপোজাল
রিসার্চ প্রপোজাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। ভর্তি বা বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা খুবই ভাল কাজ করে। ৫ পেজের ১৫০০-২০০০ শব্দের রিসার্চ প্রপোজাল পৃথিবীতে খুবই পরিচিত। সুপারভাইজার যে এরিয়াতে কাজ করে তার সঙ্গে মিল রেখে প্রপোজাল রেডি করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রফেসরের সর্বশেষ প্রকাশিত গবেষণাটি অনুসরণ করা দরকার। তাছাড়া পৃথিবীতে বহুল আলোচিত বিষয়ের উপর গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। রিসার্চ প্রপোজালে কি কি বিষয় থাকে তা সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করছি।

যেমন: গবেষণা শিরোনাম, ভূমিকা, লিটারেচার রিভিউ, রিসার্চ কোয়েশ্চেন বা হাই পোথিসিস, থিওরিটিক্যাল পারস্পেকটিভ, মেথডোলজি, সম্ভাব্য রেজাল্ট, টাইম-ফ্রেম ও রেফারেন্স। সাধারণত ১৫ শব্দের মধ্যে গবেষণা শিরোনাম হওয়া বাঞ্চনীয়। ডিপেন্ডেন্ট এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট চলকের সমন্বয়ে তৈরি হতে পারে শিরোনাম। কখনো কখনো সাবটাইটেল দেওয়া যেতে পারে গবেষণা টপিককে স্পেসিফিক করার জন্য।

ভূমিকা অংশে থাকবে গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি ও পেছনের কথা। গবেষণা মানেই হলো নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা এবং অবশ্যই সেটা হতে হয় প্রচলিত সমস্যা সমাধানের মধ্য দিয়ে। সমস্যা ছাড়া গবেষণা হয় না। গবেষণার সমস্যাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেখানো এবং সমস্যাটা সমাজের জন্য কি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে তা উদাহরণ ও রেফারেন্সসহ ব্যাখ্যা করা। রেফারেন্স মানে অন্যের গবেষণাকে সাইট করা। সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত রিসার্চ আর্টিকেল সাইট করা উচিত। সমস্যা সমাধানে মানুষের কি সুবিধা হতে পারে তাও উল্লেখ করI দারকার (প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে)। রিসার্চ টাইটেলে ব্যবহৃত চলকগুলোর সংজ্ঞা ভূমিকা অংশে থাকতে হয়। লিটারেচার রিভিউ অংশে গবেষণা গ্যাপ বের করা হয় যে গ্যাপ নিয়ে রিসার্চ কোয়েশ্চেন ডিভালপ করতে হয়। যে এরিয়ার উপর গবেষণা করা হচ্ছে তার যে অংশটা নিয়ে পৃথিবীতে কেউ গবেষণা করেনি তা বের করার জন্যই গবেষণা গ্যাপ প্রয়োজন হয়। যার গবেষণা হয়ে গেছে তা নিয়ে হুবহু আর গবেষণা করার কোন নিয়ম নেই।

আর এজন্য ঐ এরিয়ার উপর গবেষণালব্ধ সকল প্রকার প্রকাশনা পড়তে হয়। এতে একটি পর্যায়ে দেখা যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্যাপ সামনে চলে এসেছে। কোন গবেষণা সাইট করে তার অনুসরণে নিজের মতামত ও মন্তব্য দিয়ে লিটারেচার রিভিউ লেখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সিলেক্টেড জার্নালের আর্টিকেলে যেভাবে বিভিউ লেখা হয়েছে সেই অনুসারেই লেখাই দরকার। কারণ প্রতিটি জার্নালের নিজস্ব স্টাইল আছে, সেটা ফলো করাই উত্তম। রিভিউয়ের আলোকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে তৈরি হবে রিসার্চ কোয়েশ্চেন ও হাইপোথিসিস। রিসার্চ কোয়েশ্চন ৩-৫টির বেশী না হওয়াই ভাল।

ডাটা প্রকৃতি, ডাটাসোর্স এবং ডাটা এনালাইসিস পদ্ধতি থাকবে মেথডোলজি সেকশনে। ডাটা দুই ধরনের: কোয়ালিটেটিভ ও কোয়ান্টিটেটিভ। ডাটাসোর্স দুই ধরনের: প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি সোর্স। ডাটা কালেকশন টেকনিক বেশ কয়েক প্রকার: কোয়েশ্চেনিয়ার সার্ভে, ইন্টারভিউ, পর্যবেক্ষণ, কন্টেন্ট এনালাইসিস, কেইস স্টাডি ইত্যাদি। ডাটা এনালাইসিস করার বেশ কতগুলো পদ্ধতির মধ্যে কো-রিলেশন, রিগ্রেশান, কোভেরিয়েন্স, ফেক্টর এনালাইসিস, সোয়াত এনালাইসিস, স্ট্রাক্চারাল ইকুয়েশন মডেল ইত্যাদি। যে পদ্ধতি গবেষণার জন্য প্রয়োগ করা হবে তা এই সেকশনে লিখতে হবে।

স্টেটমেন্ট অব পার্পাজ (এসওপি)
প্রায় সকল ভাল  ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে এসওপি রিকয়ারমেন্ট হিসেবে চেয়ে থাকে। সাধারণত দুই পেজের স্টেটমেন্ট হলে ভাল হয়। এই স্টেটমেন্টে মূলত কেন ও কিভাবে-প্রশ্নগুলোর উত্তর খেঁাজা হয়। আবেদিত দেশ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ কেন পছন্দ করা হলো তা লিখতে হয়। প্রোগ্রাম বা কোর্সটি পছন্দ করার কারণ কী; পূর্বের কোন কোর্স বা প্রজেক্ট এই প্রোগ্রাম পছন্দে ভূমিকা রেখেছে কিনা তা উল্লেখ করা প্রয়োজন। পূর্বের কোন থিসিস বা প্রকাশনা এই গবেষণা প্রোগ্রামে আসতে আগ্রহী করলো তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এই আবেদনের পেছনে কোন স্কলার বা পূর্বের সুপারভাইজারের প্রভাব আছে কিনা তার বিবরণ  লিখতে হয়। নিজের একাডেমিক দুর্বলতার কথাও উল্লেখ করা প্রয়োজন। এই গবেষণা ডিগ্রি শেষ হলে কোন পেশায় এবং কোথায় নিযুক্ত হওয়ার প্লান আছে তা সাবলীলভাবে উল্লেখ করতে হবে।

ল্যান্গুয়েজ প্রফেসিয়েন্সি
আন্ডার গ্রেজুয়েট অথবা গ্রেজুয়েট প্রোগ্রামে যেকোন দেশেই আবেদন করা হোক না কেন, ভাষা দক্ষতার সনদ লাগবেই। টোফেল, আইইএলটিএস ও ডুয়োলিঙ্গো-এই তিনটি সনদই পৃথিবীর প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই গ্রহণ করে। ওভারঅল আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর ৬.৫ হচ্ছে পৃথিবীতে স্ট্যান্ডার্ড। অন্যগুলোর ক্ষেত্রে এর সমমান গ্রহণযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রে বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে জিআরই স্কোর (৩১০+) প্রয়োজন হয় । ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই এই স্কোর সনদ আবেদিত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা সম্ভব।

এই কাগজগুলো সাথে থাকা মানে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ ভর্তির অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম


সর্বশেষ সংবাদ