জবিতে মহাসমারোহে বর্ষবরণ

জবির মঙ্গল শোভাযাত্রা
জবির মঙ্গল শোভাযাত্রা   © টিডিসি ফটো

মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ-১৪২৯ উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯.৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে  মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন,রেজিস্ট্রার, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক,শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ  অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়া সংস্কৃতি নয়, শহুরে ফ্যাশন: মিম

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রকৃতি’। শোভাযাত্রায় পাখি, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ ও পেঁচার প্রতিকৃতি স্থান পায়।

এদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় ছিল নৃত্য, দলীয় সংগীত এবং লোক সংগীত। এছাড়াও ‘মনের মানুষ’ ও ‘ট্রাভেলার্স’ ব্যান্ড দলের পরিবেশনায় ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আশা করি নতুন প্রজন্ম বাঙালির মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, মনের কালিমা দূর করতে হলে আমাদের জাগ্রত হতে হবে। নীরবতা এক ধরনের অপরাধ। এ কারণেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নীরবতাকে ভঙ্গ করতে হবে।

এদিকে, বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ স্থান পায়।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর কারণে পর পর দুই বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা সম্ভব হয়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে । তবে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ভিন্ন আমেজে বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ