ব্যাংক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, ভিত্তিহীন বললো সিলেকশন কমিটি

পরীক্ষার আগেই হাতে লেখা ও কম্পিউটারে টাইপ করা উত্তরপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের
পরীক্ষার আগেই হাতে লেখা ও কম্পিউটারে টাইপ করা উত্তরপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের  © সংগৃহীত

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীনে সরকারি ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলেছেন অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, কম্পিউটারে টাইপ করা প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়েছে। তাই এ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা। তবে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি বলছে, তাদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। এসব অভিযোগ আমলে নেওয়া যাবে না।

জানা যায়, রাজধানীর ৪৭টি কেন্দ্রে আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ৩টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এমসিকিউ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১ পদের বিপরীতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন প্রার্থী ছিলেন। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে ছিল আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তুলেন একাধিক প্রার্থী। এ নিয়ে ফেসবুকের চাকরিকেন্দ্রীক গ্রুপগুলোতে চলছে সমালোচনা। পরীক্ষার আগেই হাতে লেখা ও কম্পিউটারে টাইপ করা উত্তরপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি অংশ নেওয়া প্রার্থীদের। তারা জানান, এর আগেও পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তাই এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব আর না দেওয়ার দাবি তাদের।

তবে এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব আজিজুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটার কোন প্রমাণ আছে? কোথায় থেকে এবং কার কাছ থেকে কখন এসেছে? এই ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের সমাজে এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে চলা যাবে না। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বলেও তিনি এসময় জানান।