শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম কাজ বাংলাদেশ সংস্কার: উপদেষ্টা নাহিদ

নর্দান ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম
নর্দান ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম  © টিডিসি ফটো

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর বিগত ১৭ জুলাই থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষরা এ আন্দোলনকে চালিয়ে নিয়েছে। এ আন্দোলন আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। সবাই একসাথে লড়াই করেছে। এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র শিক্ষার্থী শহীদ মো. আসিফ হাসানের নামে ‘আসিফ চত্বরের’ স্মৃতিফলক উন্মোচনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফ হাসান নিহত হন।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র ইংরেজি বিভাগের ছাত্র শহীদ মো. আসিফ হাসানের পিতা মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

আরও পড়ুন: নর্দান ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে ডিগ্রি পেলেন ৩৭৩২ শিক্ষার্থী

একই সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, আসাদ বিন রনি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় সজন, মাহামুদুল হাসান, মহিউদ্দিন নােবেল, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন এ আয়োজনে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আন্দোলনের স্মৃতি রোমন্থন করে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, এ আন্দোলনে আমাদের সকলের আলাদা আলাদা গল্প আছে। আমরা সবগুলো গল্প তুলে আনতে পারিনি। কোটা সংস্কারের মতো যৌক্তিক বিষয় নিয়ে এ আন্দোলন ২০১৮ সালেও আমরা প্রমাণ করেছি।

আরও পড়ুন: নর্দান ইউনিভার্সিটিতে ‘শহীদ আসিফ চত্বর’ উদ্বোধন

উপদেষ্টা বলেন, শহীদ হওয়াটা যখন গৌরবের ও মর্যাদার তখন বেঁচে থাকাটা অপরাধের মনে হয়। আসিফ সহ অন্যান্য শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে সংস্কার করা।  ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অবদান ও আত্মত্যাগ বিশেষ করে আসিফের আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আমরা তাকে স্বাগত জানাই। 

এড়াছাও অনুষ্ঠানে শহীদ আসিফের পিতা মাহমুদ আলম তার বক্তব্যে বলেন- আমার সন্তান শহীদ আসিফের জন্য নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ যে সম্মান দেখালো আমি তাতে বিশ্বদ্যিালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। এক আসিফ চলে গেছে, আসিফের মত হাজারো শহীদের ত্যাগের শক্তিতে লক্ষ আসিফরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে উৎসাহিত হবেন।


সর্বশেষ সংবাদ