বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেকে খুঁজছেন বাবা

  © সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন নাজমুল ইসলাম (২২) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। তিনিসহ চার বন্ধু মিলে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। ভবনটিতে আগুন লাগার পর বাকি তিনজনের খবর মিললেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই বেইলি রোডে বিলাপ করে সন্তানকে খুঁজছেন বাবা।

নাজমুল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে জানান তার বাবা। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘অফিস শেষ করে বাসায় ফিরেই জানতে পারি আমার ছেলে বেইলি রোডে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে এসেছিল। ঘটনার পর থেকে ওর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। ঢাকা মেডিকেলসহ স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে খোঁজাখুঁজি করেছি। কোথাও ছেলের সন্ধান পাইনি।’

নাজমুলের পরিবার সূত্রে জানা আরও জানা যায়, নাজমুল পরিবারের সঙ্গে বনানীতে থাকতেন। চার বন্ধু মিলে বেইলি রোডে খেতে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর দুই বন্ধু বের হতে পারলেও নাজমুল ও জুনায়েদ নামের আরেক বন্ধু বের হতে পারেননি। তাদের ফোন পাওয়ার পরই পরিবারের সদস্যরা বেইলি রোডে খোঁজাখুঁজি করে না পেলে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।

আরও পড়ুন: চাকরির তিন বছর পূর্তিতে ট্রিট, বোনসহ পুড়ে মারা গেলেন স্টামফোর্ডের সাবেক ছাত্রী দোলা

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।


সর্বশেষ সংবাদ