ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২১ PM , আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২১ PM

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাকের আহমেদ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে তিনি চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের নতুন ঘোষিত কমিটির সমালোচনা করে ফেসবুক একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে কমেন্টস করে কলেজ ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি হৃদয়। দুপুরে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হৃদয়ের নেতৃত্বে কলেজ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে তাদের প্রতিপক্ষ ছাত্রদল নেতা প্রান্ত, রাফি ও তমাল কলেজ প্রাঙ্গণে পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হৃদয়ের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার দোকানে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে আমাকে ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এলে পুনরায় পুলিশের সামনে হৃদয়ের অনুসারী ছাত্রদল নেতা তারেকুল ইসলাম তারেক আমার দোকান ভাঙচুর করে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইয়াসিন হৃদয় অভিযোগ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমার নেতৃত্বে সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করি। ওই কর্মসূচিতে বহিরাগত সবুজের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে আমিসহ ছাত্রদলের তিনজন নেতা-কর্মী আহত হই। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।