আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শহীদ হৃদয়ের পরিবারের পাশে ছাত্রদল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৮ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৩ PM

জুলাই অভ্যূত্থানে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন যন্ত্রণা ভোগের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশিকুর রহমান হৃদয় (১৭)। গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গতকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমানসহ একটি প্রতিনিধিদল শহীদ হৃদয়ের কবর জিয়ারত করেন।
এসময় ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, শহীদ আশিকুর রহমান হৃদয় দেশের ক্রান্তিকালে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে আন্দোলনে যোগদান করে গুলিবিদ্ধ হন। সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সরকার গঠিত হয়েছে তারা এখন রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তব সত্য হচ্ছে সেই সরকার আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসার দায়িত্ব পর্যন্ত গ্রহণ করছে করছে না, যার জলজ্যান্ত উদাহরণ গতকালের শহীদ হৃদয়। তারা এখন হেলিকপ্টারে ঘোরাঘুরি এবং গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে ফটোসেশনে ব্যস্ত। আহত সহযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁরা এখন গাড়ি বহরের সোডাউন, বিমান থেকে নেমে ভ্যানে সোডাউন করতে ব্যস্ত।
তিনি আরো বলেন, জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত চিকিৎসা এবং শহীদদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে জুলাই ফাউন্ডেশন গঠন করা হলেও ফাউন্ডেশনের হর্তাকর্তারা আহতদের পাশে না দাঁড়িয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে মড়িয়া। এ আন্দোলনের ফসল যে একটি গোষ্ঠী চুরি করেছে তা এখন দিন দিন প্রকাশিত হচ্ছে। এই গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে জুলাই আন্দোলনের আহত এবং শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করেছে। যার প্রমাণ হলো গত আট মাসেও আহত হৃদয়ের পাশে তারা দাঁড়ায়নি যার জন্য শহীদ হৃদয়ের যথাযথ চিকিৎসা সম্ভব হয়নি।
এর আগে আশিকুর রহমান হৃদয় গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে মিছিলে গেলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন। দীর্ঘদিন মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগের পর অবশেষে গত ৪ এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার পশ্চিম যৌথা গ্রামের রিকশা চালক আনসার হাওলাদার চার সন্তানের মধ্যে শহীদ হৃদয় সবার ছোট।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুলাহ আল মামুন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক গণসংযোগ সম্পাদক মো. ফিরোজ আলম, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আহম্মেদ, বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মুজাহিদ ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আজমাইন সাকিবসহ পটুয়াখালী জেলা ও বাউফল উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ নেতাকর্মী।