ভারতে বাংলাদেশিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ PM , আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ PM
ভারতে এক বাংলাদেশিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এছাড়া কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে অর্ধলক্ষাধিক রুপি অর্থদণ্ডও দিয়েছে আদালত। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম ওরফে কাউসার নামের ওই ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত তাকে এই সাজা দেয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ভারতে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে সোমবার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-এর বিশেষ আদালত জাহিদুল ইসলাম ওরফে কাউসারকে ৫৭ হাজার রুপি জরিমানাও করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এনআইএ ২০১৯ সালে জেএমবির বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে যেমন— ডাকাতি, ষড়যন্ত্র, তহবিল সংগ্রহ এবং গোলাবারুদ সংগ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলা দায়ের করেছিল এবং ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এনআইএ এই মামলাটি হাতে নেওয়ার আগে বেঙ্গালুরুর সোলাদেভানাহাল্লি পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছিল।
ভারতের জেএমবির ‘আমির’ জাহিদুল পলাতক প্রধান সালাউদ্দিন সালেহীনের সঙ্গে ২০০৫ সালে বাংলাদেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে বেআইনিভাবে ২০১৪ সালে ভারতে প্রবেশ করে। তবে তাদের আত্মগোপনের সময়ও তিনি এবং তার সহযোগীরা ২০১৪ সালের অক্টোবরে বর্ধমানে বিস্ফোরণ মামলায় জড়িত ছিল বলে গুপ্তচররা জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণের পর জাহিদুল এবং তার সহযোগীরা বেঙ্গালুরুতে আসেন এবং সেখান থেকেই তিনি জেএমবির ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম থেকে যুবকদের নিয়োগ করেছিলেন। জাহিদুল এবং তার সহযোগীরা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বোধগয়ায় বিস্ফোরণের জন্যও দায়ী ছিল বলে গোয়েন্দারা দাবি করেছেন।
সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সালে তারা বেঙ্গালুরুতে চারটি ডাকাতি করে এবং লুণ্ঠিত অর্থ গোলাবারুদ সংগ্রহ, গোপন আস্তানা তৈরি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করে।