ইসরায়েলকে সহায়তাকারী দেশও কঠিন প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে: ইরান

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি  © সংগৃহীত

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি বলেছেন, ইসরায়েলকে ইরান আক্রমণের জন্য কোনো দেশ তার আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহার করার অনুমতি দিলে সেসব দেশও ইরানের পক্ষ থেকে কঠিন প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে নিজ ভূখন্ড ব্যবহার করে ইসরায়েল ও তার মিত্র দেশগুলোকে ইরানে হামলা করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে আরব দেশগুলো। লন্ডন-ভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট আই অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এসব দেশে অবস্থিত ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া এই হামলায় মোট ১৩ জন নিহত হন। এরপরই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ইসরায়েলে হামলার ঘোষণা দেয় তেহরান।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে প্রায় দুই শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ইরান। ইসরায়েল তার অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বেশিরভাগ ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র রুখে দিলেও বেশ কয়েকটি মিসাইল আঘাত হেনেছে ইসরায়েল ভূখন্ডে। 

ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান হামলায় ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি ‘কিছুটা’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এতে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই অবস্থায় সকল স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামলার পর স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পাশাপাশি নিজ দেশে এক হাজার জনের বেশি জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলার কারণে নিজ নিজ আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে ইরাক, জর্ডান ও লেবানন। ইরাকি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দেশের আকাশসীমা অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। কোনো ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে পারবে না। ট্রানজিটও বন্ধ থাকবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ