আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে গেল গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়  © হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অস্থায়ী কর্মী ও শিক্ষকরা। তাদের কয়েকদিনের আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মী ও শিক্ষকদের বেতন আটকে গেছে। আন্দোলনের জেরে ফিন্যান্স বিভাগের কাজকর্মবন্ধ থাকে। ফলে মাসের প্রথম দিনে কেউ বেতন হাতে পাননি।শুধু শিক্ষক, কর্মী ও কর্মকর্তাই নয়, অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন এবং পড়ুয়াদের বৃত্তির টাকাও আটকে গেছে।

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অস্থায়ী কর্মী-শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে গত মঙ্গলবার থেকে। এর ফলে অচলাবস্থা চলছে। এর আগে বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বাতিল করে দেন উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন। বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে শনিবার বৈঠক হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

উপাচার্যকে জানিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে দাবি ওঠে। এ অবস্থায় উপাচার্য কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন,তা সোমবার পর্যন্ত দেখা হবে। না হলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে বিভাগীয় এবং প্রশাসনিক আধিকারিককে ক্ষমতা দেবেন। তবে এক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া কাজ করতে পারেন কি- না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

জানা  গেছে, ফিন্যান্স বিভাগের তরফে বেতন নথিপত্র মাসের প্রথম দিন ব্যাংকে জমা করা হয়। তারপর বেতন হয় শিক্ষক, কর্মী  ও কর্মকর্তাদের। তবে ফিন্যান্স বিভাগের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় সেই নথিপত্র জমা করা হয়নি। সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজারেরও বেশি জনের বেতন আটকে রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে উপাচার্য বেতন বৃদ্ধির নির্দেশ বাতিল করেছিলেন।

আরো পড়ুন: তর্কের মাঝে ছাত্রীর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ শিক্ষকের

সে নির্দেশিকা প্রত্যাহারের জন্য উপাচার্যকে আর্জি জানাতে রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। পরে শনিবারের বৈঠকে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিতে সবাই মত দিয়েছে। উপাচার্য তাদের আর্জি না মানলে রেজিস্ট্রারকে ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। 

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এদিকে বর্তমান রেজিস্ট্রারের মেয়াদ রয়েছে আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত। তাই আন্দোলনকারীরা চাইছেন তার আগেই বিষয়টি সমাধান হোক। বেতন বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে তারা জানিয়েছেন। খবর: হিন্দুস্তান টাইমস।


সর্বশেষ সংবাদ