৫ম গণবিজ্ঞপ্তি

এক লাখ শূন্য পদের তথ্য পেল এনটিআরসিএ, সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসায়

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ফটো

দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লাখ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব শূন্য পদ পূরণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) শূন্য পদের এ সংখ্যা জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক।

এনটিআরসিএর একটি সূত্র বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৮০৬টি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য রয়েছে মাদ্রাসায়।

ওই সূত্র জানায়, ৯৬ হাজার ৮০৬টি পদের মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৪২ হাজার ৮৬৬টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া কলেজ পর্যায়ে ৪ হাজার ৩৭১, কারিগরিতে ১ হাজার ৯৫৭ এবং মাদ্রাসায় ৪৭ হাজার ৬১২টি পদ শূন্য রয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মার্চ মাসের শেষ দিকে অথবা এপ্রিলের শুরুতে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চায় এনটিআরসিএ। এজন্য দ্রুত গতিতে সব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শেষ হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ  পর্যন্ত শূন্য পদের তথ্য সংশোধন করা যাবে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসের শেষ দিকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারব।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়। গত সোমবার আবেদনের সময় শেষ হলেও মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পর্যন্ত ফি পরিশোধ করতে পেরেছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করতে প্রতিবছর একাধিক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে এনটিআরসিএ’র। এজন্য বছরে একাধিকবার শূন্য পদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ