আশুরার রোজা কবে ও কয়টি

মহররম
মহররম  © ফাইল ছবি

হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। এই মাসের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। এ দিন রোজা রাখলে বিগত বছরের গোনাহের কাফফারা হয়ে যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে মহররম একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ মাস। ১০ মহররম (৯ আগস্ট) আশুরার দিন। আশুরার রোজা দুইটি। ০৯ ও ১০ মহররম, অথবা ১০ ও ১১ মহররম।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আগামী বছর বেঁচে থাকলে আমি অবশ্যই ৯ মহররমসহ সিয়াম রাখব। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ মহররম ও ১০ মহররমসহ সিয়াম পালন করবো। বর্ণনাকারী বলেন, কিন্তু পরের বছর আসার আগেই রাসুল (সা.) এর ইন্তেকাল করেন। [সহীহ মুসলিম হাদিস নং–১১৩৪]

আশুরার রোজার ফজিলত

আশুরার দিবসের রোজা এতটাই ফযীলতপূর্ণ যে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিবসের খোঁজ রাখতেন এবং এর ফযীলত লাভের জন্য রোজা রাখতেন। আশুরার রোজা বিগত এক বছরের গুনাসমূহের কাফফারা হয়ে যায়। [সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২]

আরও পড়ুন: পহেলা মহররম আজ

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আশুরার রোজা এক বছর রোজা রাখার সমান। [ইবনে হিব্বান-৩৬৩১]

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমার জানা মতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য দিবসের রোজার তুলনায় আশুরার রোজার ফযিলত লাভের জন্য বেশি উদগ্রীব থাকতেন। তেমনি অন্য মাসের তুলনায় রমযান মাসের রোজার ব্যাপারেও। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১১৩২; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-২৩৭০]

মুসলিম উম্মাহর বিখ্যাত ইসলামিক স্কলারদের অভিমত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহররমের ১০ তারিখ রোজা রেখেছেন আর পরের বছর ৯ তারিখ রোজা রাখার নিয়ত করেছিলেন। মহররমের ৯-১০ রোজা রাখা উত্তম। মহররমের ১০ তারিখের পাশাপাশি ৯ তারিখও রোজা রাখা ভালো। এ ছাড়াও মহররম মাস জুড়ে রোজা পালন ও ইবাদত-বন্দেগিতে রয়েছে অনেক সাওয়াব ও কল্যাণ।


সর্বশেষ সংবাদ