বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে শায়খ আহমাদুল্লাহ

শায়খ আহমাদুল্লাহ
শায়খ আহমাদুল্লাহ  © সংগৃহীত

সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। খাবার, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানবেতর জীবন কাটছে তাদের। এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ব্যাক্তি পর্যায়েও অনেকে সহযোগিতা করছেন। এসব বানবাসী মানুষেকে সহায়তা করছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন সিলেট ও সুনামগঞ্জে ২০,০০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করার জন্য মোট ২০০ টন খাদ্য প্রস্তুত করা হচ্ছে  যা কাল ও পরশুবন্টন হবে ইনশাআল্লাহ।

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, ১ টন শিশুখাদ্য (গুড়ো দুধ), ২০টন খেজুর, ১০ টন চিড়া, আড়াই টন চিনি ও ১০ হাজার পিস মোমবাতি প্যাকেট করা হয়েছে। সেই সাথে আছে ৪ হাজার বোতল মিনারেল ওয়াটার (৫ লিটার প্রতিটি)। এদিকে গাইবান্ধার মণ্ডল ফ্লাওয়ার মিলে (চাল ভাজা, ভুট্টা, গম ভাজা ও ছোলার সংমিশ্রণে) তৈরি হচ্ছে ৫টন ছাতু। ১০ টন খেজুর, ১০ টন চিড়া এবং ১০ হাজার লিটার মিনারেল ওয়াটার ও মেডিকেল ক্যাম্পের জন্য বিভিন্ন পদের ১৮ হাজার পিস ঔষধ সিলেটে পৌঁছে গিয়েছে। চিড়া ও খেজুর ২ কেজি করে প্যাকেট করা হয়েছে। এগুলো সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দুর্গম এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আইইউবিএটির সমাবর্তন ১৯ জুলাই 

ফেসবুক পেইজে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আগামী কাল থেকে আরো ব্যাপকতরভাবে চাল, ডাল, আলু, তেল ইত্যাদির প্যাকেজ করা হবে ইন-শা-আল্লাহ। সেই সাথে গরুর খাদ্য হিসেবে এক ট্রাক ভূসি অর্ডার করা হয়েছে। এগুলো সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আমরা নিজেরাও বিতরণ করবো ইন-শা-আল্লাহ।

ইতোমধ্যে ৮৩.৫ টন ত্রাণ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। আজ রাতে সেনাবাহিনীর কাছে ১০০ মেট্রিক টন হস্তান্তর করা হচ্ছে। এদিকে ফাউন্ডেশনের অফিসে রাতের মধ্যে প্রস্তুত হচ্ছে ১০০ টন। পর্যায়ক্রমে মোট ৭০০ টন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। অবশিষ্ট মালামাল প্যাকেট করা হবে কাল ও পরশু ইন-শা-আল্লাহ।

মালামালের বিবরণ:

৩০০ টন চাল, ৮০ টন খেজুর, ৬০ টন ডাল, ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টন লবন, ৪০ হাজার প্যাকেট হলুদ-মরিচ, ৪  টন ছাতু, ১ টন শিশুখাদ্য (গুড়ো দুধ), ২০ টন চিড়া, ৪০ হাজার লিটার পানি, ১৩.৫ টন ভূসি, ১০ হাজার মোমবাতি, ১৮ হাজার মেডিসিন


সর্বশেষ সংবাদ