ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানের ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ PM , আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ PM
জুলাই-আগষ্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থান এর ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর এম আমিনুল ইসলাম।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিবেবে ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেন । এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের দেশে অসাধারণ মেধাসম্পন্ন তরুণ সমাজ রয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন সময়ে তাদের দুঃখ, কষ্ট ও নিরাশার কথা শুনেছি। আমি আশাবাদী বাংলাদেশের শিক্ষকদের এসব কষ্ট নিরসন হবে। এগুলো দুর করার জন্য কাজ করছে সরকার।
বিশেষ সহকারী বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ডিগ্রি করার জন্য ইনসেনটিভ বা আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা নাই। এসব বিষয়ে সমাধান করার জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার পরে গবেষণালব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের উপযোগী করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষকদের দক্ষ করার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষকরা দেশের জন্য আত্মনির্ভরশীল দক্ষ মানবসনম্পদ তৈরি করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলিতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা শেষ করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে এবং নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করে দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারে।
প্রফেসর এম আমিনুর ইসলাম বলেন, বর্তমানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ চলমান। আগামীতে এআই রেভাল্যূশন মোকাবিলা করার জন্য যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। এজন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই বিশেষজ্ঞ দ্বারা কোর্স ও কর্মশালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের বাংলা শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে ও বিদেশে সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। এর সাথে কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে পৃথিবীর সকল জায়গায় নিজেদের স্থান করে নিতে পারবে। তাই তরুণদের উদ্যোগী হতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. প্রফেসর ড. মোঃ আজিজুল ইসলাম।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, মাননীয় বিশেষ সহকারী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রফেসর ড. এ.এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, ভাইস চ্যান্সেলর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক নুরে আলম তালুকদার।