ইউল্যাবের উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি, আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৭ PM , আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩২ PM
অস্থিতিশীল ও অশান্ত হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বেসরকারি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ইমরান রহমানের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অনশনে বসেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে অসম্মান এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির দায় নিয়ে উপাচার্য ইমরান রহমানকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসর ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির সবাইকে ছাত্র বিরোধী সিদ্ধান্তের দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ইউল্যাবের কোড অব কনডাক্ট যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে এবং মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশ এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে হরণ করে, এমন সকল কলা কানুন ইউল্যাবের আইন কাঠামো থেকে বিলোপ করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ইউল্যাব প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদী আচরণ বজায় রেখেছে। উপাচার্যের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি, গ্রাফিতি আঁকার কারণে শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রদান ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ বিনষ্ট করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী সুনেহরা আজমি বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারা আংশিক দাবি নিয়ে কথা বলতে চায়। আমরা বলেছি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলতে চাই। ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম ভিসি একটা স্টেটমেন্ট দিবেন। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত ভিসি কোন স্টেটমেন্ট দেয়নি। আওয়ামী লীগের দোসরদের তারা সরাতে চান না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে নিজেদের ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কোনো আশ্বাস না পেয়ে বিকেল ৪টা থেকে মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেন তারা। পরে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ইউল্যাব প্রাঙ্গণে গ্রাফিতি আঁকায় সম্প্রতি দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করা হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।