মিয়ানমারের ৬৮ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে, ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপির সদস্যরা
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপির সদস্যরা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তীব্র লড়াই চলছে। এরইমধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৬৮ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের অস্ত্র নিয়ে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। ওপার থেকে ছোড়া গুলিতে নাইক্ষ্যংছড়ির তিনজন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, মিয়ানমারে দু’পক্ষের ছোঁড়া মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়ছে বাংলাদেশে। এতে সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে এলাকা ছেড়েছেন। মর্টার শেল পড়ে একজনের ঘরে আগুন ধরে যায়। এ অবস্থায় সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলছে কম।

বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি গোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাদের এ যুদ্ধ চলছে। কিছু শহর দখল করে নিয়েছে তারা। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার রাত থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সীমান্তের ওপারের চৌকিগুলোর মধ্যে তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে আক্রমণ করে আরাকান আর্মি। দুপুরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঘুমধুমের পাঁচটি গ্রামে। মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। তবে বিকেলের পর গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, সংঘর্ষের মধ্যে প্রথমে বিজিপির ১৪ জন পালিয়ে আসেন। কয়েক ঘণ্টা পর আরও ৫৪ জন এসেছে। বিজিবি নিরস্ত্রীকরণ করে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। আহত ১৫ জনকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে গ্রামের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন: টাঙ্গাইলের শাড়ি ভারতের দাবির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে লিগ্যাল নোটিশ

গুলিতে তিনজন বাংলাদেশি আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউপপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি বলেন, ওপারে ছোড়া গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশে। এতে প্রবিন্দ্র কুমার ধর, টিটু ও হালিমা নামে তিনজন আহত হলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত ঘেঁষে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। গণপরিবহন চলাচলও সীমিত।


সর্বশেষ সংবাদ