এই সরকারের অধীনে আর ভোটে যাব না: হিরো আলম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১১:২৯ PM , আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১১:২৯ PM
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর থেকে ভোটের রাজনীতিতে নেমে আক্রান্ত হয়ে চলছেন হিরো আলম; তবে এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আর নির্বাচন করবেন না তিনি।
সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষ মুহূর্তে হামলার শিকার হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী।
বগুড়ার আশরাফুল আলম কেবল টিভি অপারেটর থেকে ইউটিউব-ফেইসবুকে কন্টেন্ট তৈরি করে আলোচিত হয়ে ওঠার পর নিজের এলাকায় দুই দফা নির্বাচন করেন। সেখানেও হামলার শিকার হতে হয়েছিল তাকে।
সর্বশেষ ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে নিরুত্তাপ এই নির্বাচনে একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কিছুটা হলেও উত্তাপ ছড়াচ্ছিলেন।
প্রার্থী হলেও এই আসনে ভোটার না হওয়ায় তার ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন তিনি।
সকালেও এক কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কাছে অনিয়মের অভিযোগ দিয়েও বলেছিলেন, ফলাফল মেনে নেব কি-না, সেটা পরের হিসাব। কিন্তু ভোটের লাস্ট সময় পর্যন্ত থাকব মাঠে।
তিনি বলেছিলেন, আমরা দেখতে চাই, তারা কতটা আমার উপর অত্যাচার করে, কতটা আমার এজেন্টদের বের করে দেয়। যদি জোর করে সিল মারে, দেশের জনগণ দেখবে, আপনারাও দেখবেন আমার উপর কত অন্যায়-অত্যাচার করে তা দেখা পর্যন্ত থাকব।
তবে দুপুরের পর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হন হিরো আলম। তাকে বেধড়ক পেটান হয়। আর হামলার অভিযোগ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এরপর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রামপুরায় এক বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, আমার উপর যে আঘাত এটা প্রথম না, ২০১৮ সালেও আঘাত করেছে। আমাকে আঘাত করে মেরে ফেলার পরিকল্পনা তারা করেছিল।
বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে ঢাকা ১৭ উপ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম কিলঘুষি, লাথি ও ধস্তাধস্তির শিকার হন।
আজ কীভাবে আমার উপর আঘাত করেছে, পুরো জাতি দেখেছে। ওখানে মূলধারার গণমাধ্যম ছিল। আমার উপর আঘাতেই বোঝা যায়, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে না হয়নি—জানান হিরো আলম।
এসময় তিনি ভোটের ফল প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি জানান, এই হামলা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়ে হামলার ঘটনা জানাবেন।