বৃষ্টির আশায় শত শত মুসল্লির নামাজ আদায়

বৃষ্টির আশায় শত শত মুসল্লির নামাজ আদায়
বৃষ্টির আশায় শত শত মুসল্লির নামাজ আদায়  © সংগৃহীত

বাইরে প্রচণ্ড গরম। গরমে হাঁসফাঁস করছে জনজীবন। সারাদেশে গেল কয়েকদিনের তীব্র খরতাপে মাঠঘাট খালবিল শুকিয়ে গেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে হাজার হাজার টিউবওয়েল অকেজো হয়ে গেছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসল, নেমে গেছে পানির স্তর। দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। বৃষ্টির আশায় যশোরের ঝিকরগাছার লাউজানি ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিসকার)  আদায় করেছে গ্রামবাসী। 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) আসরের নামাজের পর এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে দুই শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করে। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল্লাহ বিন কোরবান।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নত। তাই আমরা সকলে একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি। 
শনিবার ঝিকরগাছার তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন: মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি চুয়াডাঙ্গায়

মানুষের মাঝে নেমে আসছে চরম দুর্ভোগ। রোদ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার সাধারণ মানুষ। এ ছাড়াও কোথাও কোথাও নলকূপের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। মানুষ হাহাকার দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির জন্য।

এদিকে, গত ৫৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম দিন পার করলেন ঢাকাবাসী। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরমের আঁচ আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। ১৯৬৫ সালে ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা টানা ১৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রতিদিন এ জেলায় গড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


সর্বশেষ সংবাদ