মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

‘স্কুল-মাদ্রাসায় গিয়ে যুদ্ধকালীন সংগ্রামের কথা শোনাবেন মুক্তিযোদ্ধারা’

আ ক ম মোজাম্মেল হক
আ ক ম মোজাম্মেল হক   © সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ঘটনা জানা খুবই জরুরি। এজন্য শিডিউল করে এখন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্কুল-মাদ্রাসায় যাবেন এবং ছেলেমেয়েদের যুদ্ধকালীন সংগ্রামের কথা শোনাবেন।’

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গা সদর ও জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তৈরি সবকটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ক্যাপসুল লিফট স্থাপন করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি লিফটের প্রাক্কলন ব্যয় ৩০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া ‘বীরের কণ্ঠে বীর গাথা’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য ধারণ করা হবে। সব মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য সেখানে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা কী স্লোগান দিয়েছিলেন, কার কথায় মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, কীভাবে ৯ মাস যুদ্ধ করলেন, কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন, এগুলো সব বর্ণনা থাকবে।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় মুক্তিযোদ্ধারা কেউ কাউকে মানেন না। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। অল্প দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’

আরও পড়ুন : বড় হতে ঢাবি-বুয়েট-মেডিকেলে পড়তে হবে— লিখিত আইন নেই

মন্ত্রী বলেন, ‘জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা ভোটার হবেন। ভোটার তালিকায় কোনো মুক্তিযোদ্ধার নাম যদি ভুল থাকে বা কোনো অমুক্তিযোদ্ধার নাম এসে থাকে, প্রমাণ সাপেক্ষে তা সংশোধন করা হবে।’

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য আলি আজগার, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 


সর্বশেষ সংবাদ