এটি বৈশাখের শোভাযাত্রা, বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ নয়
- আরিফ জেবতিক
- প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪৩ PM , আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪৩ PM
নববর্ষের শোভাযাত্রার সামনে নিরাপত্তার নামে যা করা হচ্ছে, সেটি শোভাযাত্রাকে অবদমন করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।
যদি একই জায়গায় একাধিক গ্রুপের কর্মসূচি ঘোষিত হয় কিংবা দুটো মিছিল মুখোমুখি সংঘর্ষের আশংকা থাকে, তাহলে সেখানে দুই গ্রুপের মাঝখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শোভাযাত্রার সাথে কারো মুখোমুখি সংঘর্ষের কোনো ব্যাপার নেই। তাহলে এর সামনে সাজুগুজু করে শতশত পুলিশ দিয়ে ঘিরে দেয়ার মানে কী?
এমন ভাবে বিষয়টাকে উপস্থাপন করা হয় যাতে মনে হয় যে দেশে কেউ এই জিনিস পছন্দ করে না, নিছক তোমাদেরকে পাহারা দিয়ে না রাখলে তোমরা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। এটি একটি মানসিক গেম। সামনে এরকম রাশিয়া-ইউক্রেন মার্কা অবস্থা জারি দেখলে কারো আনন্দ করার মুড থাকবে না, বরং আশংকায় কুকড়ে থাকবে। সরকারি ব্যবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সেটা করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের পতন ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
নিরাপত্তার অবশ্যই দরকার আছে, জোরালোভাবে দরকার আছে। কিন্তু সেটি এমনভাবে করতে হবে যাতে অংশগ্রহনকারী মানুষদের মনে আস্থা জন্মায়, আশংকা নয়। আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আশ্বস্থ করতে হবে যে অনেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাদাপোশাকে প্রচুর নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ হবে। মিছিলের সামনে একরম বেরিকেড দেয়া লাগবে না। মিছিলের দুইপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন থাকবে সাদাপোশাকে। কিছু পোশাকি লোকজনও থাকবে, কিন্তু সেটি এমন ভাবে নয় যে শোভাযাত্রাকে একেবারে তামাশা বানিয়ে সামনে কয়েকসারি ভাবচক্করওয়ালা লোককে বড় বড় বন্দুক দিয়ে হাটিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটি বৈশাখের শোভাযাত্রা, বিজয় দিবসের সরকারি কুচকাওয়াজ নয়।
লেখক- অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট