কাফনের কাপড় জড়িয়ে সড়কে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২১, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১, ০৪:৫৭ PM
কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতারণার অভিযোগে ও মাইগ্রেশনের দাবিতে গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে রংপুর-দিনাজপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ মার্চ) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত মেডিকেল মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে নেই কোনো হাসপাতাল, শিক্ষক। এছাড়া বিএমডিসি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদনও নেই। এরপরও প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হয়ে কলেজে পড়াশোনা করছেন। বার বার আশ্বাস দেয়ার পরও কোনো অনুমোদন আনতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ধার করা শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
আরও পুড়ুন নর্দান মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর মালিকপক্ষের হামলা
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, টানা ৩৩ দিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো, রাজধানীতে গিয়ে মানববন্ধন ও রংপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ, মানববন্ধন করলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
কলেজের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশরাফুল বলেন, ধার করা রোগী ও শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের শিক্ষা জীবন ধ্বংস করছে কর্তৃপক্ষ, হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এ সমস্যা নিরসনে অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন নর্দান মেডিকেলের সেই ২১ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন বিএমডিসির সনদ
এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ মানুষ। এতে সড়কের উভয়পাশে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন যান আটকা পড়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানালে প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টা পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) আলতাফ হোসেন বলেন, আপাতত শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।