তারুণ্য ধরে রাখতে এবিসি জুস

এবিসি জুস
এবিসি জুস   © সংগৃহীত

তারুণ্য ধরে রাখতে আজকাল অনেক বেশিই আগ্রহী তরুণেরা। তাই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। তবে আরেকদল মানুষ বেশি আগ্রহী প্রাকৃতিক উপায়ে নিজেকে সুস্থ আর সুন্দর রাখার জন্য। অসংখ্য ভেষজ উপকরণ রয়েছে রূপচর্চার জন্য। তবে জুস খেয়ে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখার ব্যাপারটি নিশ্চয়ই অভিনব। 

সম্প্রতি ইন্টারনেটে বেশ ভাইরাল হয়েছে এবিসি জুসের কথা। বিশেষ করে ইউটিউবে অনেক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এই জুসের রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই জুসকে বলা হচ্ছে মিরাকল জুস। 

এই জুসের মূল উপাদান হলো আপেল, গাজর আর বিটরুট। এই ৩ টি উপাদানের সাথে আদা, লেবুর রস আর পুদিনা পাতা ব্লেন্ড করে তৈরি করতে হয় জুসটি। মূলত চাইনিজ ভেষজবিদরা এই জুস ব্যবহার করতেন ফুসফুসের চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে জুসটি জনপ্রিয় হয়েছে ত্বক এবং স্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্য। জুসটির মূল উপাদান তিনটির প্রত্যেকটাই নানারকম পুষ্টিগুনে ভরপুর। 

আরও পড়ুনঃ শরীরের মেদ কমাতে ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডিটক্স ওয়াটার

প্রথম উপকরণ আপেলে রয়েছে, ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৬, সি, ই এবং কে, ফোলেট, নিয়াসিন, জিঙ্ক, কপার, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফসফরাস। আপেলে পাওয়া ডায়েটারি ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা ইমিউন সিস্টেম  এবং স্নায়ুতন্ত্রকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। 

বিটরুটে হার্টের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজী। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-কমপ্লেক্স, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার। আরও আছে লাইকোপিন এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
বিটরুট বেটালাইন সরবরাহ করে যা লিভার ভালো রাখে। এটি ন্টি-এজিং এর ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকর উপাদান। 

সর্বশেষ উপাদান গাজরে ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৩, বি৬, সি, ই এবং কে এবং নিয়াসিন, ফোলেট এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে। ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের মতো পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। গাজরের অন্যতম বিশেষত্ব হল বিটা-ক্যারোটিন। আমাদের শরীর বিটা-ক্যারোটিনকে ভিটামিন এ-তে রূপান্তর করে চোখের কার্যকারিতা এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। 

কেন খাবেন এই জুস?
এবিসি জুস প্রচুর ভিটামিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যার কারনে কোষকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে, রক্তচাপ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি হজম, ওজন কমানোর পাশাপাশি চোখ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কাজ করে। 
 
কখন খেলে বেশি কার্যকর হবে?
সকালে কিংবা বিকালে খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে। ডিটক্স জুস হিসেবে প্রতিদিনই পান করতে পারবেন।

এবিসি জুসের কার্যকারিতা কতদিনে দৃশ্যমান হয়?

প্রাকৃতিক সবজী ও ফল দিয়ে তৈরি  বিধায় এই জুসের প্রভাব একটু সময় নিয়ে বুঝা যায়। নিয়মিত জুস খেলে ২/৩ মাসের মধ্যে এর  উপকারিতা দৃশ্যমান হয়। 

কোন ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
কারো যদি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা আছে। বিটরুটে অক্সালেট নামক যৌগ বেশি থাকে। কিডনীর দুর্বলতা থাকলে এই প্রাকৃতিক যৌগগুলি সেখানে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

নিয়ম মেনে এই জুস পান করলে সুস্বাস্থ্য আর সুন্দর ত্বক লাভের সুযোগ আছে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। 


সর্বশেষ সংবাদ