রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি

এমপিওর কার্যক্রম বন্ধের হুমকি সেসিপ কর্মীদের

শিক্ষাভবন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সেসিপ কর্মীরা
শিক্ষাভবন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সেসিপ কর্মীরা

চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে আবারো আন্দোলনে নেমেছেন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী। দাবি আদায় না হলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা বা এমপিওর কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তারা। সেসিপ কর্মীরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনার সরকারি নানা দায়িত্ব পালন করলেও প্রকল্পের অধীনে কর্মরত থাকায় তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। 

রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে শিক্ষাভবন ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে তারা চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানান। 

সেসিপের কর্মীরা বলছেন, রাজস্বখাতে আমাদের পদ সৃজন করা হয়েছে। কিন্তু চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি শুরু করলেও পরে দাবি আদায়ের আশ্বাসে তা প্রত্যাাহর করা হয়েছিল। কিন্তু চাকরি রাজস্বাখাতে স্থানান্তর হয়নি। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমগুলো পরিচালনা সেসিপের কর্মীরা ছাড়া অসম্ভব। পরিদর্শক, প্রোগ্রামার, থানা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, একাডেমিক সুপারভাইজারসহ বেশ কয়েকটি পদে কর্মরত থেকে আমরা মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা তদারকি করছি। সরকারি দায়িত্ব পালন করেও সরকারি সুযোগ পাচ্ছি না। 

তারা আরও বলেন, আমদের প্রোগ্রামাররা মাঠ পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষকদের বেতনভাতা বা এমপিওভুক্তির কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আমরা যদি রাজস্বখাতে স্থানান্তর না হই তবে ইএমআইএস সার্ভার (বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এমপিও প্রক্রিয়াকরণের সফটওয়্যার) ডাউন করে দেব। আমরা এমপিওভুক্তির কোন কার্যক্রমে অংশ নেব না। 

সেসিপের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সেসিপ প্রোগ্রামে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে কর্মরত এসব কর্মকর্তা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কারিকুলাম বাস্তবায়ন, হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসার, আইসিটিভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, স্কুল মনিটরিং ও নিবিড় একাডেমিক সুপারভিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল শক্তিশালীকরণ ও সফটওয়্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এছাড়া তারা নকল মুক্ত পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে ট্যাগ অফিসার এবং জাতীয় নির্বাচনসহ সব পর্যায়ের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন, বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মেলা আয়োজন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা করেন।

তারা বলছেন, এসব পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পদ সৃষ্টি করেছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এ পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার সম্মতি দেয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ওই ১ হাজার ১৮৭টি পদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।


সর্বশেষ সংবাদ