আঁটসাঁট পোশাক নিষিদ্ধ ছিল বাড়িতে, যেভাবে শোবিজে এলেন প্রিয়াঙ্কা 

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া  © গেটি ইমেজেস

এখন তার বিশ্বজোড়া পরিচিতি। বলিউড থেকে হলিউডে গিয়ে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন আন্তর্জাতিক তারকা। ভারতের খ্যাতিমান এই তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে ছোটবেলা খুব একটা সুখকর ছিল না তার। পরিবারে ছিল নানা বিধিনিশেষধ। কীভাবে তিনি শোবিজে এসেছিলেন, সম্প্রতি তা উঠে এসেছে তার কথায়।

জানা গেছে, কৃষ্ণ বর্ণের কারণে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে স্কুলে ‘ব্রাউনি’, ‘কারি’ ইত্যাদি সম্বোধন করে উত্ত্যক্ত করত সহপাঠীরা। একথা একাধিকবার জানিয়েছেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয় পরিবারেও তাকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। 

সম্প্রতি অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, পাঞ্জাবী পরিবারের একমাত্র কৃষ্ণবর্ণ কন্যা প্রিয়াঙ্কা। ফলাফল, ‘কালি’ অর্থাৎ কালো মেয়ে বলে ডাকা হতো তাকে। তাছাড়া মজার ছলে নানা আঘাতমূলক কথা বলা হতো। কৈশোরে পৌঁছে সে সবের অর্থ উপলব্ধি করতে পারেন বলিউডের ‘দেশি গার্ল’।

বাবা অশোক চোপড়ার সঙ্গেও প্রিয়াঙ্কার মান-অভিমানের পর্ব ছিল দীর্ঘ দিনের। বাড়িতে নাকি রীতিমতো জেলখানা বানিয়ে দিয়েছিলেন তার বাবা। আঁটসাঁট পোশাক পরা এক প্রকার নিষিদ্ধ ছিল প্রিয়াঙ্কাদের বাড়িতে।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘আঁটসাঁট পোশাক বা গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকা টি-শার্ট পরা নিষিদ্ধ ছিল’। মূলত একটি ঘটনার জেরেই প্রিয়াঙ্কাকে এই ‘নিদান’ দিয়েছিলেন বাবা অশোক চোপড়া। একবার পাশের বাড়ির ছাদ থেকে এক ব্যক্তি প্রিয়াঙ্কার বারান্দায় এসে পড়েন। তারপর থেকেই তার বারান্দা লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।

প্রিয়াঙ্কার কথায়, বাবা সারা বাড়িটাকে জেলখানা বানিয়ে দিয়েছিল। পোশাকে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়। বাড়িতে এই পরিস্থিতির মধ্যেই মা মধু চোপড়ার উদ্যোগে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা। এরপরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে চলার।  


সর্বশেষ সংবাদ