পরিবহন সংকটে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

হাবিপ্রবিতে পরিবহন সংকট ও নতুন শিডিউল বিড়ম্বনায়
হাবিপ্রবিতে পরিবহন সংকট ও নতুন শিডিউল বিড়ম্বনায়   © সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) পরিবহন সংকট ও নতুন শিডিউলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় পরিবহন সঙ্কটে ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অন্য বাসে প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আমরা বাসের ট্রিপ বাড়ানোর আবেদন করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্টো কমিয়ে দেয়। আগে সারাদিনে ৪৬ ট্রিপ শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতেন। এখন সে ট্রিপ কমিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ৩২ ট্রিপের সময়সূচি করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে, বর্তমানে হাবিপ্রবির পরিবহন পুলে ২০টি বাস রয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪-৫ হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াত করেন। মেরামতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় বিকল অবস্থায় প্রায় এক বছর ধরে পড়ে আছে পাঁচটি বাস। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন কর্মচারী বলেন, বর্তমানে ২০টা বাসের বিপরীতে চালক রয়েছেন আটজন। অনেক চালককে দুটি করে বাস চালানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ১৭ বিভাগে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেবে বিইউপি

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান জানান, আবাসন সংকটের কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করে। অনেক শিক্ষার্থী দিনাজপুর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরা শিক্ষার্থীদের শহরে যাতায়াত করতে হয়। নতুন বাস সিডিউল আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ও যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. খালেদ হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ সময়সূচি তৈরি করা হয়েছে। শতকরা ২০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সে মোতাবেক নতুন এ সময়সূচি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটা নষ্ট বাসের জন্য ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ। এ অপ্রতুল টাকা দিয়ে বাসগুলো মেরামত করা সম্ভব নয়। যেসব বাস এ টাকার মধ্যে মেরামত করা সম্ভব সেগুলো মেরামত ব্যবস্থা নিচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ