ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রকাশ
মাভাবিপ্রবি কোয়ালিটি রিভিউ অ্যান্ড র্যাংকিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৩ PM , আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৩ PM

র্যাংকিংয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) অবস্থার অবনতির সংবাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশের পর সোমবার (১৭ মার্চ) কোয়ালিটি রিভিউ অ্যান্ড র্যাংকিং কমিটির দ্বিতীয় সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। সভার শুরুতে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন। পরে কমিটির সদস্যসচিব ড. জিয়াউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।
তার প্রেজেন্টেশনের ওপর অন্যান্য সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবি থেকে বহিষ্কারের ১২৮ জনের তালিকায় ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী
কমিটির সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানোন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে আরও উচ্চস্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন, গবেষণার অগ্রগতি ও একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করা আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গুণগত অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি আমাদের শিক্ষার গুণগত মান, গবেষণার প্রভাব এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের অবস্থানের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এজন্য আমাদের অবশ্যই গবেষণার পরিমাণ ও মান বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো, শিক্ষার আধুনিকায়ন এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: চবির ৫ম সমাবর্তন: সমালোচনার মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন প্রশাসনের
তিনি সব শিক্ষক, গবেষক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান, যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা জানা যায়, ‘Times Higher Education এবং QS World Ranking এ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন, যা এর আগে কখনোই করা হয়নি। প্রশাসনের কোয়ালিটি রিভিউ অ্যান্ড র্যাংকিংয়ের উদ্যোগের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ পেয়েছে।