ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রাজনীতি স্থগিত ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২২ PM , আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৬ PM

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (এফইসি) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ‘স্থগিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ না করে স্থগিত করায় অসন্তুষ্টির প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে মঙ্গলবার কলেজের একাডেমিক কাম-প্রশাসনিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্বের (২০ আগস্ট) নোটিশের আলোকে ক্যাম্পাসের ভেতর সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট কলেজের একাডেমিক কাম-প্রশাসনিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে নোটিশ জারি করেন তৎকালীন অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। নিষিদ্ধের মধ্যে দিয়ে নতুন করে গত ১ মার্চ ছাত্রদলের কমিটি গঠনের খবর প্রকাশ হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই দিন বিকেলে একাডেমিক কাম প্রশাসনিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডাকে কলেজ প্রশাসন। পরে সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করে এক নোটিস দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ বলেন, ‘গত ২০ আগস্ট আমাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এর মধ্যেই ছাত্রদল কমিটি দেয়। এ জন্য আমরা ২০ আগস্টের সিদ্ধান্ত বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামি। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি স্থগিত করার নামে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত চাইনি। আমাদের এক দফা দাবি, ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই।’
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাজী সুরাইয়া বলেন, ‘তিন-চার দিন আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পর থেকে বহিরাগত লোকজন ক্যাম্পাসে আসছেন; মোটরসাইকেলে মহড়া দিচ্ছেন।’
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাসেল বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। আমরা কেন রাজনীতি করতে পারব না? এ ক্যাম্পাসের তিন শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলা শাখার কমিটিতে আছেন। তাঁরা যেহেতু রাজনীতি শুরু করেছেন, আমাদের রাজনীতি করতে কোনো বাধা দেখি না।’
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কলেজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আমাদের আর কোনো কথা নেই।’