বায়তুল মোকাররমে মসজিদে নববির মতো ছাতা বসানোর পরিকল্পনা

বায়তুল মোকাররম
বায়তুল মোকাররম  © সংগৃহীত

বায়তুল মোকাররম মসজিদের খালি জায়গায় মসজিদে নববির আদলে ছাতা স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে নামাজ আদায় করতে করা হবে উন্নয়ন ও সংস্কার। এভাবে ঢেলে সাজিয়ে আন্তর্জাতিক মানের রূপ দেওয়া হবে মসজিদটিকে। 

জানা গেছে, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের আবহাওয়ার মধ্যে পার্থক্য ও অন্য সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। দেশ ও বিদেশের মসজিদ যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) জানিয়েছে, মসজিদের পূর্ব ও উত্তর পাশে ৮০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন গেট নির্মাণসহ পশ্চিম দিকে ২০ ফুট এবং উত্তর দিকে ৩৩ ফুট ব্যাপী ওয়ার্কওয়ে তৈরি করা হবে। এছাড়া, ৩০০ ফুট উচ্চতার মিনার, চার তলাবিশিষ্ট একটি অফিস ভবন, মসজিদে নামাজের জন্য বিভিন্ন সুবিধা সম্প্রসারণ এবং সাউন্ড সিস্টেমের উন্নয়নও করা হবে।

এছাড়া, মসজিদের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক আলোকসজ্জার উন্নয়ন, লিফট স্থাপন, ভেতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (ভিআরএফ) ইনস্টল, অডিটোরিয়ামের আধুনিকীকরণ এবং মসজিদের দক্ষিণ ও পূর্বদিকের পার্কিংয়ের সংস্কারসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজও করা হবে। তবে প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় এখনও নির্ধারিত রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। কারণ বায়তুল মোকারম মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করতে এটি নতুনভাবে সাজানো হবে। এর জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে এবং দেশি-বিদেশি মসজিদ পরিদর্শন করে বায়তুল মোকারমকে আরও নান্দনিক রূপ দেয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (পরিকল্পনা বিভাগ) বজলুর রশীদবলেন, আমরা মদিনা শরিফের আদলে মসজিদের ফাঁকা স্থানে ছাতা স্থাপনের পরিকল্পনা করছি। এক কথায় মসজিদটি আমরা আন্তর্জাতিক মানের রূপ দেবো। সেজন্য আমরা ফিজিবিলিটি স্টাডি করবো। আরও চাহিদা কি কি আছে সেইগুলো দেখবো। জাতীয় মসজিদ আন্তর্জাতিক মানসম্মত সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করবো। মুসল্লিরা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠে সুতরাং লিফট অথবা এস্কেলেটর স্থাপন করা হবে। সেন্ট্রাল এসিসহ স্যানিটেশন সুবিধা আরও আধুনিক হবে।

ইফা জানায়, মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৩৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় কম বা বেশি হতে পারে। প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার পর চার বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা হবে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যার প্রস্তাবিত ব্যয় ১৩৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকল্পের প্রস্তাবনা ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। তবে, পরিকল্পনা কমিশন ইফার প্রস্তাবিত প্রকল্পের কিছু খাতে ব্যয় কমানোর সুপারিশ করেছে। 

কমিশন অন্যান্য খরচ যেমন ভাতা, আপ্যায়ন খরচ, কুরিয়ার সার্ভিস বিল, অফিস ও স্টোর ভাড়া, আসবাবপত্র মেরামত ও সংরক্ষণ এবং ডিপিপি তৈরির খাত বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া, জনবলের গ্রুপ বিমা খাতটিও বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ