বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

রংপুরের বদরগঞ্জে জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মানিকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে লাভলু মিয়া (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। লাভলু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে রায়হান। নিহত লাভলু বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুরের রাজারামপুর গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি দোকানঘর নিয়ে ব্যবসায়ী জাহিদুল হক জোয়ারদার এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইশতিয়াক বাবু দোকানঘর ছাড়ার জন্য চাপ দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নেয় যখন জাহিদুল হক আশ্রয় নেন কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের কাছে এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবু আশ্রয় নেন সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে। 

শনিবার দুপুরে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের নেতৃত্বে জাহিদুল হকের অনুসারীরা। কিন্তু মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থকরা তা পণ্ড করে দেন। যার ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়, শুরু হয় দুই পক্ষেরই নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় পৌরশহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে। একপর্যায়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন দু’জন পথচারীসহ অন্তত ১০ জন। এর মধ্যে বিএনপি কর্মী লাভলু মিয়া (৫০), মোক্তারুল ইসলাম (৪৫), মুন্নাফ আলী (৫০), শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও ময়নাল হোসেনকে (২৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাভলু মিয়া মারা যান। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের কর্মী-সমর্থক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর দুইটার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শহরে টহল শুরু করে। 

বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, লাভলু মিয়ার মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু এখনও কাগজ হাতে পাইনি। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দোষীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ