মুজিববর্ষেই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

মুজিববর্ষকে অবিস্মরণীয় ও চির অম্লান করে রাখতে আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ‌‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ’ ঘোষণার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। আজ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে তারা।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি। এসময় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম রনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য আকাশছোঁয়া। শতকরা ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস দীর্ঘ ১৬ বছরেও পরিবর্তন হয়নি।  এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং সামান্য বেতন নিয়ে করোনার এ দুঃসময়ে গৃহবন্দি শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম অর্থকষ্টে দিনযাপন করছেন।

তিনি বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দীর্ঘ ২৮ বছরেও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। শিক্ষকদের বদলি প্রথা চালু নেই। শিক্ষকদের শিক্ষা সহায়ক ভাতা নেই। তাই মুজিববর্ষে এ শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ ঘোষণা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাধ্যমিক স্তরে পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার সন্তোষজনক হলেও শিক্ষার গুণগতমান প্রশ্নাতীত নয়। শিক্ষা জাতীয়করণ হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় আগ্রহী হবে এবং নিঃসন্দেহে শিক্ষার গুণগত মান বাড়বে। এছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিক্ষাব্যয় অনেকাংশে যেমন হ্রাস পাবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধ করাও সম্ভব হবে।

এসময় আয়োজন থেকে আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সরকারের প্রতি বিনীত আহবান জানানো হয়।