বিয়ের দাবিতে ৩ সন্তানের জননীর অনশন, মারধরের অভিযোগ

মারধরে নারীর হাতে জখমের চিহ্ন
মারধরে নারীর হাতে জখমের চিহ্ন  © সংগৃহীত

বরগুনার আমতলীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসা এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারীর দাবি, প্রেমিকের মা, ভাবি, ছোট ভাই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করেছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পশ্চিম আঠারোগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার পশ্চিম আঠারো গাছিয়া গ্রামের রিপন মোল্লার সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। ২০২২ সালে ভুক্তভোগীর সঙ্গে খালাতো দেবর আবুল কালাম মীরের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জেরে গত ২৯ মার্চ স্বামী রিপন ওই নারীকে তালাক দেয়।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক কালামের বাড়িতে অনশনে বসেন। ওই সময় কালাম বাড়িতে ছিল না। রাত ১১টার দিকে অনশনে বসা নারীকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে মারধর করে প্রেমিকের ছোট ভাই বক্কর মীর, তার স্ত্রী লামিয়া, জা লাকি বেগম ও মা পরি বিবি। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাম সিকদার ও নারী ইউপি সদস্য হাসনাহেনা বেগম তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

ভুক্তভোগী বলেন, ‘বিয়ের দাবিতে অনশনে বসায় তারা তিন ঘণ্টা ধরে আমাকে নির্যাতন করেছে। আমার চোখ ও বিশেষ অঙ্গে মরিচের গুড়া দিয়েছে।’

প্রেমিক কালামের বড় ভাই আবুল হোসেন মীর তার ভাইয়ের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়ি ছিলাম না। বাড়ি এসে শুনেছি তাকে মারধর করেছে। রাত ১১টার দিকে দুই ইউপি সদস্য তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।’

ওই দুই ইউপি সদস্য বলেন, ‘নির্যাতনের খবর পেয়ে রাত ১১ টার দিকে কালামের বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছি। পরে তাকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ