বিয়ের প্রলোভনে থাইল্যান্ডের নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ

ফেনী মডেল থানা পুলিশ
ফেনী মডেল থানা পুলিশ  © টিডিসি ফটো

বিয়ের প্রলোভনে থাইল্যান্ডের এক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে সোমবার (১৪ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মোখসুদুর রহমান ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আব্দুর রবের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ডের ওই নারী নাগরিক ২০২০ সালে হংকং-এ একটি মুদির দোকানের ব্যবসা করেন। সেখানেই অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমানের সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও অভিযুক্ত তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। একপর্যায়ে সেখানে দুজনে মিলে একটি ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তী মোখসুদুরকে ব্যবসা ও বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও কিছু স্বর্ণালঙ্কার দেন ভুক্তভোগী ওই নারী। একসময়ে অভিযুক্ত সেদেশে ভিসা সমস্যার কারণে কারাগারে গেলে তাকে মুক্ত করেন ভুক্তভোগী নারী। 

সূত্র জানায়, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মোখসুদুর বাংলাদেশে চলে আসলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। অভিযুক্ত ভুক্তভোগী নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে আত্মীয় স্বজনদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। গতবছরের ২২ মার্চ বিয়ের প্রলোভন দেখালে তিনি প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। একইভাবে মোখসুদুর গতবছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তার নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত রোববার (১৩ এপ্রিল) ওই নারী বাংলাদেশে এসে অভিযুক্তের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ সময় তার একটি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে, যেখানে তাদের দুজনের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মোখসুদুর রহমানের নাম উল্লেখ ও আরও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুজ্জামান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমানকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আদালতে ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ