সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা, শুনে বাবার মৃত্যু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৮ AM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৮ AM
পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনভর সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আলমগীর হোসেন নামে এক নেতাকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ খবর শুনে তার বাবা আকমল হোসেন প্রামাণিক (৬৫) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ঘটনার পর ফয়সাল আহমেদ ফাহিম নামে এক নেতাকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। ইউনিয়নের দরগাপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও একই এলাকার দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাদের চার দফা সংঘর্ষ হয়। প্রথম দাশুড়িয়া কলেজে আলমগীর ও ফাহিমের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
দুপুরে রশিদ পেপার মিল এলাকায় ফের সংঘর্ষ হয়। এর জেরে দুপুরে ও বিকেলে দরগাপাড়ায় দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় আলমগীরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেলে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার খবরে তার বাবা আকমল হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
আরো পড়ুন: নিজ কার্যালয়ে সংসদ সদস্যের অনুসারীদের মারধরের শিকার শিক্ষা কর্মকর্তা
ফাহিমকে রাতেই ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মল্লিক মিলন মাহমুদ তন্ময় ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আলমগীর ও ফাহিমের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। মল্লিক মিলন মাহমুদ তন্ময় বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ফাহিমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আলমগীর ও ফাহিম আগে একসঙ্গে রাজনীতি করতেন। সম্প্রতি আলমগীর এলাকায় একক প্রভাব বিস্তার করেন। পরে নিজের আধিপত্য বিস্তারে এবং প্রতিশোধ নিতে ফাহিমের পক্ষ মারধর করে আলমগীরকে। আলমগীরের পক্ষের নেতা-কর্মীরাও ফাহিম ও তাঁর পক্ষের কয়েকজনকে মারধর করেছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মুলাডুলির ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।