মরিয়ম মান্নানের মাকে অপহরণের আলামত পাওয়া যায়নি: পিবিআই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৪৮ PM , আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:১৩ PM
মরিয়ম মান্নানের মাকে অপহরণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পিবিআই। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
পিবিআই'র বিবৃতি থেকে জানা গেছে, খুলনার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর ফরিদপুরে খোঁজ পাওয়া রহিমা বেগম অপহরণ হননি। খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, 'খুলনার দৌলতপুরের বাসা থেকে অপহরণের কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। আমরা এখনও মামলাটি তদন্ত করছি এবং রহিমা বেগম তার নিখোঁজের বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
অন্যদিকে, রহিমা বেগমের পরিবারের দায়ের করা মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান রহস্যজনক ভাবে এই নিখোঁজের পেছনে "মাস্টারমাইন্ড" হিসেবে কাজ করেছেন। মরিয়মসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সত্য উদঘাটন করা যাবে বলে জানান তারা। ২৯ দিন ধরে "নিখোঁজ" থাকা রহিমা বেগমের জবানবন্দি ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে রেকর্ড করার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি রিভা-সম্পাদক রাজিয়ার বিরুদ্ধে মামলা
রহিমা বেগম তার জবানবন্দিতে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি নিজে ফরিদপুর যান। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান জানান, রহিমা বেগম দাবি করেছেন গোলাম কিবরিয়া ও মো. মহিউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তি, যাদের সঙ্গে জমি নিয়ে তার বিরোধ ছিলো, তারা জোরপূর্বক একটি খালি কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে তাকে দূরবর্তী স্থানে ফেলে রেখে যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট নিজ বাড়ির সামনে থেকে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর তার সন্তানরা দৌলতপুর থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়। এরপর, ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, তিনি গত সাত থেকে ১০ দিন ধরে নিজের বাড়ির পুরানো এক ভাড়াটিয়ার বাসায় স্বেচ্ছায় লুকিয়ে ছিলেন।