লিফট কিনতে দলবল নিয়ে ফিনল্যান্ডে উড়াল দিলেন ঢাবি প্রো-ভিসি

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলমান নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড সফরে গেছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তিনি ছাড়াও এ সফরে রয়েছে আরও চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, হলসহ বিভিন্ন ভবনের জন্য ১৭টি লিফট ক্রয় করবেন।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে ফিনল্যান্ডে সফর করার কথা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার নিজেই। এদিন ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটের ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। আগামী ৯ মে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এ সফলে ঢাবি উপ-উপাচার্য ছাড়াও প্রতিনিধি দলের বাকি সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না। 

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত ‘কনে’ ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে ব্যয়ের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তথ্যানুযায়ী, প্রি-শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) অংশ হিসেবে এ প্রতিনিধি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন। প্রকল্পের অংশ হিসেবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে লিফট দেখাতে নিয়ে যাচ্ছে। লিফট দেখার পর তাঁরা সেখানে স্বাক্ষর করবেন, ঘটনাস্থলে যে লিফট দেখবেন সেই লিফটই  সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা, নাকি নকল কোনো পণ্য দেওয়া হয়েছে তা পরবর্তী সময়ে যাচাই করবেন।

লিফট কেনার সফল নিয়ে অধ্যাপক সীতেশ গণামধ্যমকে বলেন, আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পাঠাচ্ছে। ফিনল্যান্ডে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোনো খরচ বহন করছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৪-১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণ হয়েছে চারটি। এগুলো হলো ১২ তলাবিশিষ্ট সামাজিক বিজ্ঞান ভবন, ৫ তলাবিশিষ্ট উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ১০ তলাবিশিষ্ট উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ১০ তলাবিশিষ্ট এমবিএ ভবন। এছাড়াও নির্মাণাধীন রয়েছে ২৩ তলাবিশিষ্ট আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স ভবন।

 

সর্বশেষ সংবাদ