গুচ্ছতে সর্বোচ্চ জিপিএ প্রাপ্তরাই যোগ্য, ইউনিটপ্রতি অংশ নেবে দেড় লাখ

পরীক্ষার্থী
পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়া দেড় লাখ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে। যদিও এই সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে; যা আগামী আগামী ৩০ মার্চ জানা যাবে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোন ইউনিটে কত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবেন তার একটি প্রাথমিক হিসাব জানানো হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সংখ্যার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরেজমিনে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে এই তথ্য জমা দিতে হবে।

ওই সূত্র আরও জানায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাথমিক বাছাই হবে জিপিএ’র ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। তুলনাামূলক কম জিপিএপ্রাপ্তরা প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়বেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সদস্য ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কত সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবেন তার সঠিক সংখ্যা ৩০ মার্চ জানা যাবে। সরেজমিনে ক্যাম্পাস প্রদর্শন করে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সবাই আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো ফি নেয়া হবে না। আমরা সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাছাই করব। এখানে কারো হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ থাকবে না। সয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থী বাছাই হবে।

তথ্যমতে এবার ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এর মধ্যে ২০টি সাধারণ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ২৩ এপ্রিল প্রাথমিক বাছাইয়ের ফল প্রকাশ করা হবে।

আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু হবে। ৫০০ টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা ২০ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। আগমী ১৯, ২৬ জুন ও ৩ অথবা ১০ জুলাই গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ সংবাদ