সাদিক কায়েম

অনেক কালচারাল ফ্যাসিস্ট আজ বিএনপির বড় বড় বুদ্ধিজীবী

০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৯ PM , আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১০ PM
ডাকসু আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সাদিক কায়েম

ডাকসু আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সাদিক কায়েম © টিডিসি

অনেক কালচারাল ফ্যাসিস্ট আজ বিএনপির বড় বড় বুদ্ধিজীবী বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। আজ শুক্রবার (৭ই নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ডাকসু কর্তৃক বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ‘জনতার নয়া রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা: বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। 

ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমে বলেন, শহীদ জিয়ার অবদান আজকের এই বাংলাদেশ। তিনি দেখিয়েছে কিভাবে গণ মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। কিভাবে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অখন্ডতার রক্ষা করতে হয়। কিভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আজকে শহীদ জিয়াকে যারা দানব আকারে হাজির করেছে, শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে যারা ব্যঙ্গাত্ম করেছে তাকে মিলিটারি রোলার হিসেবে সাজিয়েছে, তারাই আজকে বিএনপির বড় বড় বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে। যারা বাংলাদেশে গুম, খুন, আয়নাঘর, শাহবাগ কায়েম করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টরাই আজকে বিএনপির বড় বড় বুদ্ধিজীবী। 

আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞার মধ্যেই পড়ে না : ব্যরিস্টার ফুয়াদ

ডাকসু ভিপি বলেন, বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ বিনিময় করার জন্য যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে সে ঐক্য দিন দিন ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমাদের ব্যক্তিগত, দলীয় ও বর্গীয় স্বার্থকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। ৫৪ বছর পরে যে ঐতিহাসিক সুযোগে এসেছে, তা যেন হেলায়-দোলায় নষ্ট না করি। আমি আশা করব সে জায়গায় সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই যেভাবে রাজপথে নেমেছি। বিপ্লব পরবর্তী এই স্বপ্নের বাংলাদেশ শহীদদের আকাঙ্ক্ষার আলোকে বৈষম্য ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ বির্নিমান করার জন্য এক সাথে কাজ করার আহ্বান করছি।

তিনি বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের শেখায় আমাদের শত্রু কারা এবং আমাদের মিত্র কারা। কিন্তু আমাদের শত্রু এবং মিত্রকে চিনতে ভুলে যাই। আমরা দেখতে পেয়েছি বিপ্লব সংহতি দিবসে সিপাহী জনতা একসাথে নেমে তারা স্লোগান দিয়েছিল ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার, দিল্লি না ঢাকা,, ঢাকা,, ঢাকা,, গোলামী না আজাদি,, আজাদি, আজাদি’। একইভাবে জুলাই বিপ্লবে আমরা দেখতে পেয়েছি খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের মুক্তিগামী ছাত্রজনতা সারাদেশে তারা একসাথে স্লোগান দিয়েছিল ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ তারা স্লোগান দিয়েছিল ‘দিল্লি না ঢাকা গোলামী না আজাদি আজাদি আজাদি’।

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা কথা বলেছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিই না। যে বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, শহীদরা যে কারণে জীবন দিয়েছে সে আকাঙ্ক্ষার কথাগুলো আমরা ভুলে যাই।

‘ওর বাবা বলত, আমার মেয়েটি বিদ্বান হবে’
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
সাধারণ ছুটির দিনেও খোলা থাকবে ব্যাংকের যেসব শাখা
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
বিদায়ী ২০২৫ সালে ‌‘মব’ দিয়ে শুরু ‘গুলিতে’ শেষ
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চাকরি, আবেদন অনলাইনে
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইবির ইউট্যাব ও জিয়া পরিষদের শোক
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫