পাল্টাপাল্টি মামলায় গ্রেপ্তার ৫, অস্ত্রধারী যুবককে জামায়াত কর্মী দাবি ওসির

৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ PM
পাবনা বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের সময় গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে

পাবনা বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষের সময় গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে © সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় অস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া সেই যুবক জামায়াতের কর্মী বলে দাবি করছে পুলিশ। আজ রবিবার (৩০ নভেম্বর) এ তথ্য জানান ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুর নূর।

তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের দিন অস্ত্র হাতে গুলি ছোড়া যুবক তুষার মন্ডল জামায়াত কর্মী হতে পারে। তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি; পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’

তুষার মণ্ডল ঈশ্বরদী পৌরসভার ভেলুপাড়া এলাকার তাহের মণ্ডলের ছেলে। স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, তুষার পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের ভাতিজা মামুন মন্ডলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। 

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা পাল্টাপাল্টি দুই মামলায় উভয়দলের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের দুজন এবং বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করা হয়। আজ বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আব্দুর নূর বলেন, ‘দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা করেছে। দুই পক্ষের মামলার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী আসামিদের গ্রেপ্তার করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।’

এর আগে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করা হয়। 

সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধার ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বাঁধন হাসান আলিম বাদি হয়ে ৩২ জন জামায়াত নেতার নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাতনাম ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পাবনা জেলা জামায়াতের আমির এবং পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলকে। 

অপরদিকে, ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে একই থানায় ৩৮ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অপর মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাকে। এ ছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই পাবনা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের আত্মীয় এবং অনুসারী।

ঝালকাঠিতে আ. লীগ নেতাসহ ২৫ জনের মনোনয়নপত্র জমা
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচন নিয়ে জোটের সিদ্ধান্তকেই আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মেন…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে পরিবার
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
অত্যন্ত সংকটময় সময় অতিক্রম করছেন বেগম খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত আটক
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ছাত্রদল প্যানেলের কাছে ফা…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫