প্রতীকি ছবি © সংগৃহীত
সুন্দর হাতের লেখার প্রশংসা সবাই করে। লেখা সুন্দর ও আকর্ষণীয় হলে সেই লেখা অধিক গুরুত্ব নিয়ে পড়ার আগ্রহ জাগে। শিক্ষকের কাছেও সেই শিক্ষার্থী সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। কেননা লেখা অস্পষ্ট হলে সেটা পড়তে অধিক সময় লাগে ও কষ্ট হয়। তখন সেই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ার আগ্রহ হারিয়ে যায়।
হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য পরিশ্রম, চর্চা, সাধনা সবকিছুরই প্রয়োজন হয়। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার পেছনে হাতের লেখার বেশ প্রভাব রয়েছে। আবার লেখা অস্পষ্ট হলে, অনেক সময় পরীক্ষকের মধ্যে কম নম্বর দেয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রুত করার চেষ্টা সবারই আছে। হাতের লেখা সুন্দর করার কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো -
১। লেখার অভ্যাস গড়ে তোলা :
লেখা সুন্দর করার প্রথম ধাপ বেশি বেশি লেখার চর্চা করা। লেখা যেমনই হোক তা চর্চার উপরে রাখতে হবে। অধিক পরিমাণে চর্চার মাধ্যমে ধীরে ধীরে লেখার ধরন উন্নত করা সম্ভব।
২। অক্ষরগুলো সুন্দর করে লেখা :
লেখা সুন্দর করতে চাইলে অক্ষরগুলো অবশ্যই সুন্দর করে লিখতে হবে। প্রতিটি বর্ণ বা অক্ষরগুলো সুন্দর ও স্পষ্টভাবে লেখার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি অক্ষর আলাদাভাবে সুন্দর করে লেখা আয়ত্ত করতে হবে।
৩। মাত্রা ও ফাঁকা জায়গা ঠিক রাখা :
অক্ষর বা বর্ণের পাশাপাশি মাত্রাগুলো সঠিক রাখতে হবে এবং দুটি অক্ষরের মধ্যে সমান দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৫। লাইন সোজা করে লেখা :
সুন্দর করে লেখার ক্ষেত্রে লাইন সোজা রাখার ব্যাপারে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেকেই লিখতে গেলে লাইন বাঁকা হয়ে যায়। অক্ষর সুন্দর হলেও এ ধরনের লেখা দেখতে ভাল লাগে না। লেখার সময় মনোযোগী হলেই লাইন বাঁকা হওয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব।
৬। সঠিকভাবে কলম ধরা :
আঙুলের ওপর বেশি চাপ না দিয়ে হালকাভাবে কলম ধরে লিখতে হবে। এতে হাতে প্রেসার কম পরবে, হাত কম ক্লান্ত হবে এবং লেখা সুন্দর হবে।
আরও পড়ুন : গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৭ মার্চ
৭। চিত্র আঁকার মাধ্যমে লেখা শেখা :
হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথমে চিত্র আঁকতে শিখতে হবে। চিত্র আঁকার মাধ্যমে তাদের লেখা সুন্দর করা যেতে পারে। পরে অক্ষরগুলোকেও আঁকার ছলেলেখা যাবে। তখন সহজেই হাতের লেখা সুন্দর করা যাবে।
৮। পূর্বের লেখার সাথে তুলনা :
কিছুদিন পরপর নিজের পূর্বের লেখার সাথে বর্তমান লেখা মিলিয়ে দেখতে হবে। তাহলে নিজের লেখার অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। ভুলগুলো সহজেই চোখে পড়বে।
৯। বানান নির্ভুল :
বানান নির্ভুলের দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নির্ভুল বানান ও বাক্য সুন্দর লেখারই অংশ। তাই এদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
১০। লেখার পরিবেশ তৈরি করা :
লেখার সময় নিরিবিলি পরিবেশ থাকতে হবে। মনোযোগ থাকলে লেখা সুন্দর করা যায়। অমনোযোগী মন নিয়ে লিখলে লেখার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায় না। তাই সুন্দর ও নীরব পরিবেশ সুন্দর লেখার জন্ম দেয়। বিশেষ করে লেখা শেখার প্রাথমিক অবস্থায় নীরব পরিবেশ লেখার ওপর বেশ প্রভাব ফেলতে পারে।