উত্তাল চবি ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২২, ০১:২০ PM , আপডেট: ২১ জুলাই ২০২২, ০১:৫৫ PM
নিরাপদ ক্যাম্পাস ও ছাত্রী হেনস্তার বিচারের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন ভিসির কার্যালয়ের সামনে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন ক্যাম্পাসের জয় বাংলা চত্ত্বরের সামনে।
এদিকে, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্বিতীয় দফা মানববন্ধন করেন। এরপর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রগতিশীল ছাত্র জোট তৃতীয় দফা মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। প্ল্যাকার্ডে শিক্ষার্থীরা লিখেন, ভিসি যেখানে নারী, সেখানে অনিরাপদ কেন আমি?, সুবোধ তুই পালিয়ে যা তোর ভাগ্যে নিরাপত্তা নাই, নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই, নাম অবশ্যই প্রশাসনের জানা, তবে মামলা কেন অজ্ঞাতনামা।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেশ কিছু দিন ধরে পরপর ছাত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনায় কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কোনো সঠিক বিচার করছে না। বিপরীতে ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের নিজেদের ক্যাম্পাসেই নিরাপদ নয়। আমরা ক্যাম্পাসে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা চাই। সেই সাথে ছাত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্তপূর্বক সঠিক বিচার চাই।
চবি শাখা ছাত্র ফন্টের সদস্য শাহানাজ মুন্নি বলেন, আমরা যে ২১০০ একর নিয়ে গর্ব করি সে ২১০০ একরের গর্ব আজ কোথায় গেল? আমাদের গর্বের ২১০০ একরে যদি প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা বিধান করতে না পারে তাহলে এই ২১০০ একর নিয়ে গর্ব আমরা কেন করব?
রসায়ন বিভাগের ছাত্রী সাজিয়া আহমেদ বলেন, যে ঘটনার বিচার চার ঘণ্টার মধ্যে হওয়ার কথা ছিল সে ঘটনার চার দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কিছু করতে পারেননি। ক্যাম্পাসকে আমরা আমাদের বাড়ির মতো মনে করি। এখানে প্রশাসন আমাদের অভিভাবক। আমাদের বাড়িতে আমাদের আমাদের অভিভাবকরাই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। এ রকম অভিভাবক থেকেই বা কী লাভ?
এর আগে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার দফা দাবিতে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা। এ সময় চার দফা দাবি মেনে নেয়ার শর্তে আন্দোলন থেকে সরে আসেন ছাত্রীরা।