মধ্যরাতে ছাত্রীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত চবি

চবি উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
চবি উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রীদের বিক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলের সান্ধ্য আইনের বিপক্ষে প্রতিবাদ এবং ক্যাম্পাসের সর্বত্র শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রীরা। 

বুধবার (২০ জুলাই) রাত ১০টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা অবস্থান নিয়েছেন। 

এসময় তাঁরা সান্ধ্য আইনের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানান। ছাত্রীদের বক্তব্য হচ্ছে, তাদের উত্ত্যক্ত এবং হেনস্তা করছে ছেলেরা। সুতরাং ব্যবস্থা নিতে হলে ছেলেদের হলেও সান্ধ্য আইন চালু করতে হবে। এছাড়াও তারা, ক্যাম্পাসের সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে হুশিয়ারি জানান। 

ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিজা দাস বলেন, একজন ছাত্রী যদি রাতের শাটল মিস করে তাহলে তার হলে ফিরতে হয় বাসে করে। ক্যাম্পাসে আসতে আসতে ১১:৩০ টা বাজতেই পারে। এসময় সে হলে ঢুকতে না পারলে সে কি বাহিরে থাকবে?

আমরা এর স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আজকে এখানে অবস্থান করবো। আজকের সমস্যা তাই আজকেই এর সমাধান হতে হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রক্টরিয়াল বডি তাদের মৌখিক আশ্বাস দিচ্ছে আন্দোলন থামানোর জন্য। কিন্তু ছাত্রীরা তাদরে অবস্থান থেকে এখনও সরেনি। 

এর আগে গত রোববার রাতে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ৪টি হলে রাত ১০টার মধ্যে প্রবেশের নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। 

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।


সর্বশেষ সংবাদ