ঢাবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

নবীনবরণ
নবীনবরণ   © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সেমিনার কক্ষে এই নবীনবরণ হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনটির সদস্যরা। একইসঙ্গে সেরা তিন তরুণ লেখককে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননা পেয়েছেন তরুণ লেখক আজহার মাহমুদ, শারমিন আক্তার এবং জান্নাতুল ফেরদৌস শ্রাবণী।

এতে প্রধান হিসেবে সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি উন্মুক্ত আকাশ, এখানে পাখির মতো উড়া যায়। যে লক্ষ্য স্থির করে উড়তে জানে সে সঠিক গন্তব্যে পোঁছায়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা একেকটা চারাগাছ। যে গাছ গুলো আগামী পাঁচ বছরে পূর্ণ গাছে পরিণত হবে। পূর্ণবয়স্ক গাছে ফুল ধরে। তোমরা এমন ফুলগাছ হবে না যা দুর্গন্ধ ছড়ায়।

তিনি আরও বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজের সাথে যুক্ত থাকা উচিত। আমি নিজে লেখালেখি পছন্দ করি, অন্যদেরকে লিখতে উৎসাহিত করি। লেখালেখি যারা করে তারা বেশিরভাগই বিবেক দ্বারা তাড়িত হয়। লেখকরা তাদের লেখার মাধ্যমে মানুষকে সৎ পরামর্শ দিয়ে থাকে। তার দ্বারা অন্যায় কাজ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই আমি সবসময় তরুণ লেখকদের উৎসাহ দিতে পছন্দ করি। আশা করছি এই ফোরাম লেখক তৈরিতে কাজ করবে।

আরও পড়ুন : উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ: আব্দুল্লাহ শহীদ

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহানুর ইসলাম বলেন, তরুণরা লেখার মাধ্যমে নিজের প্রতিভা প্রকাশ করবে এবং একইসঙ্গে সমাজ ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা এই ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। দেশের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ফোরাম কাজ করছে এবং অগণিত তরুণ লেখক তৈরি হচ্ছে এখানেই আমাদের সার্থকতা। আশা করছি আজকের নবীনরাও সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবে এবং ভালো কিছু উপহার দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল্লাহ মানছুর ফারাবী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই সৃজনশীল। আলোর ছোঁয়া পেলেই তারা জ্বলে উঠতে পারে। আপনাদের লেখালেখির যাত্রা শুরু করতে আমরা কর্মশালাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেব। সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। লেখালেখির ধারার শুরুটা হয়ত আমরা করে দিতে পারব কিন্তু তা চালিয়ে যেতে হবে আপনাদের। নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে গেলে আমরা আশা করছি এখান থেকেই দেশ সেরা তরুণ লেখক বেরিয়ে আসবে।

ফোরামের ঢাবি শাখার সভাপতি সাইফুল্লাহ মানছুর ফারাবীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সহসভাপতি রিফাত মাহাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত ভূঁইয়া, সাহিত্য সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ