ঢাবির রোকেয়া হলের গ্রন্থাগার সহকারীর অপসারণ দাবি

ইতি রানী
ইতি রানী  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলের সিনিয়র গ্রন্থাগার সহকারী (গ্রেড-১) ইতি রানী দাসের অপসারণ ও বদলী দাবি করেছেন ওই হলের কর্মচারীরা। সিনিয়র কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণসহ নানাবিধ অভিযোগ এনে এই দাবি জানানো হয়।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইতি রানীর বিরুদ্ধে ঢাবি উপাচার্য ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে অপসারণের দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে কর্মচারীরা জানান, ইতি রানী তার চেয়ে বয়সে বড় এমন কর্মচারীদের 'তুই' বলে সম্বোধন করেন। নিজের দায়িত্বের বাহিরে অন্য কাজেও নাক গলান তিনি এছাড়া প্রভোস্টের সহানুভূতি নিয়ে অন্যদের উপর নিজেকে জাহির করেন। ইতি রানীর ভাবভঙ্গি এমন যে সে যতই অপরাধ করুক তাকে কেউ কিছু করবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, কর্মচারীদের কথা অন্য কর্মচারী দিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করে৷ পরে এই রেকর্ড ট্রাম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে সে। মিথ্যা কথা বলে এক স্টাফের সাথে অন্য স্টাফের ঝগড়া বাধিয়ে দেয়। একই কাজের জন্য কাউকে শাস্তি দেয় আবার কাউকে দেয় না। প্রায় প্রতিদিনই কারো না কারো সাথে খারাপ আচরণ করে। প্রভোস্টের ভয় দেখায়। কথায় কথায় কর্মচারীদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার হুমকি দেয়। এতে করে হলের কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

আরেক কর্মচারী জানান, ইতি রানীর কাজ হচ্ছে প্রভোস্টকে ভুলভাল তথ্য দেয়া। এতে করে সে প্রভোস্টের সহানুভূতি আদায় করে। ছোট একটি বিষয়কে রঙ মাখিয়ে সেটিকে অনেক বড় করে দেখানোই তার কাজ। এতে সে অনেক আনন্দ পায়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইতি রানী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত হুদার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ