অধ্যাপক তাজমেরী ইসলামকে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৬ PM , আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৮ PM
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাক্তন অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে মুক্তি না দিলে আগামী সপ্তাহ থেকে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সম্মিলিতি পেশাজীবী পরিষদ। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবীদের এই সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক শওকত মাহমুদ এই হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ক্লাস শুরু বুয়েটে, খোলা থাকছে হল
মানববন্ধনে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পরাজিত হয়ে রাজাকাররা যে আচরণ করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে, বর্তমান সরকারও তেমনি বুদ্ধিজীবীদের হয়রানি করছে।
মানববন্ধনে শওকত মাহমুদ বলেন, আজ জেলখানাগুলোতে পেশাজীবীরা আটক আছেন, তারা মত প্রকাশ করতে পারছেন না, মানবাধিকার চর্চা করতে পারছেন না। মিথ্যা মামলায় তাদেরকে জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভয় ধরানোর জন্য তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হলে করোনার হানা, আক্রান্ত ২৪
এ সময় তিনি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন , পেশাজীবীরা কোনোভাবেই পিছু হটবে না। এক সাপ্তাহের মধ্যে দেখতে চাই তাজমেরী ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা। যদি তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে রাজপথে আমাদের আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। এই আন্দোলন স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হবে।
তার মুক্তির দাবি জানিয়ে শওকত মাহমুদ আরও বলেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আন্দোলনে কোনো আপস নেই। এজন্য সরকার মাঝে-মধ্যে চেষ্টা করে পেশাজীবী পরিষদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে।
পেশাজীবীদের আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার জানাতে চাই, যেসব পেশাজীবী মনে করেন সরকার পড়ে যাবে, তারপরে তারা ঘর থেকে বের হবেন। তাদের বলব, যদি রাজপথের আন্দোলনে আপনারা না আসেন তাহলে আপনারা রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
এছাড়া, শওকত মাহমুদ এসব হয়রানি বন্ধ করে ঢাবির সাবেক অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে মুক্তির পাশাপাশি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ারও মুক্তি দাবি করেন।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, অধ্যাপক শামসুল আলম ও অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া সম্পন্ন হবে জানুয়ারিতেই
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাক্তন অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানায় করা এক মামলার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও মরহুম সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সিরাজুল হক তালুকদারের মেয়ে। কর্মজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ও রসায়ণ বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদেরও সদস্য ছিলেন ঢাবির রসায়ণ বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম।