এবার পুরানো ক্ষত শুকাতে চাই, মহামারি যেন আর না আসে

এবার পুরানো ক্ষত শুকাতে চাই, মহামারি যেন আর না আসে
এবার পুরানো ক্ষত শুকাতে চাই, মহামারি যেন আর না আসে  © টিডিসি ফটো

সময়ের পরিক্রমায় বছর আসে, বছর যায়। এই আসা যাওয়ার মধ্যেই মানব জীবনের অনেক প্রাপ্তি-প্রত্যাশা, আশা-নিরাশা, সুখ-দুঃখ লুকায়িত থাকে। জীবনের এমন খেরোখাতা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একটু বেশিই ভাবনার সৃষ্টি করে। তাদের এ ভাবনাগুলো তুলে ধরছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তানভীর আহম্মেদ—

পাওয়া, না-পাওয়া, আশা-হতাশা, পূর্ণতা-অপূর্ণতা নিয়ে কেটে গেল একটি বছর। ২০২১ শেষ করে ২০২২ সাদরে গ্রহণ করলাম। নতুন বছর আসার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের নানান বিষয় নতুন উদ্যমে শুরু হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই। ২০২১ সালের অর্ধেক সময় পার করতে হয়েছে করোনা মহামারির প্রকোপে। পুরানো সে ক্ষত এবার শুকাতে চাই। এর সাথে দেশে যেভাবে বেকারত্ব দেখা দিয়েছে সেটাও যেন খুব দ্রুত সমাধান হয় সে প্রত্যাশা কামনা করি।

আরও পড়ুন: করোনা পরবর্তী শিক্ষায় যে পরিবর্তন হতে পারে, করণীয় কী?

বছরের শুরু থেকেই সকল শিক্ষার্থীর মতো আমারও মূল লক্ষ্য সেশনজট থেকে বের হওয়া। এজন্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন একটি সুপরিকল্পিত উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কোর্স শেষ করে সে বিষয়ে আহ্বান থাকবে। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সকল দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। নতুন বছরে নতুনের সাথে এ বিষয়গুলো নতুনভাবে মোড় নিয়ে শেষ হোক এই কামনা করি। করোনা মহামারি কাটিয়ে সবাই যেন আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসে, সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠুক।

স্মৃতি চক্রবর্তী,
অর্থনীতি বিভাগ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন: করোনা গেলেও থাকবে অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি

নতুন বছর মানেই পুরোনো বছরের ব্যর্থতার গ্লানিকে পেছনে ফেলে নতুন চেতনায় উদ্ভাসিত হওয়া। তাই নতুন বছর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্যেও বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এটা আরো বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, করোনা মহামারির কবলে পড়ে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে তিন-তিনটি বছর। ২০১৯-২০-২১ এই তিনটি বছর একই বর্ষে থাকার কারণে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে যা কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হচ্ছে করোনা

এতদিনে যেখানে মাস্টার্সে থাকার কথা সেখানে এখনো অনার্সও পাস করতে পারিনি। বয়স তো থেমে থাকে না, তাই যারা এতদিনে ভালো কোনো জব করতে পারতেন, তারাও বেকার পড়ে আছেন। সবদিক মিলিয়ে আমরা যারা শিক্ষার্থী আছি সবার একটাই প্রত্যাশা নতুনের সাথে সবকিছু যেন নতুনভাবে শুরু হয়। নতুন উদ্যমে আবারো যেন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে পারি এই কামনা করি। সকল বাধা-বিপত্তি, সমস্যা দূর করে নতুন আলোয় আমরা যেন আলোকিত হতে পারি এবং আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে পারি- সে প্রত্যাশা থাকবে।

সাজেদা আক্তার আমানী
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী।

নতুন বছরের সকাল থেকেই না, এদিন রাত থেকেই মনের মধ্যে কেমন যেন আলাদা একটা প্রফুল্লতা কাজ করছে। সেটার কারণ অবশ্য একটাই, সেটা হলো নতুন বছরের আগমন। কেননা নতুন বছরের জন্য অনেক কিছুই আমি বাকি রেখে দেই, এটা মনের উৎফুল্লতা থেকেই হয়। খুব ভালো লাগে নতুনভাবে সব শুরু করতে। এই ধরেন নতুন কোনো কাজ শুরু করবো বা একটা নতুন বই পড়বো সব কিছুতেই মনে আলাদা একটা আমেজ তৈরী হয়।

কিন্তু, বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে আমেজে মলিনতার ছাপ পড়ে। তখন নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে।

তারপরও একটা কথা ভেবে আশাবাদী হই নতুন বছরের নতুনত্বে সব বুঝি ঠিক হয়ে যাবে। সব ব্যবধান ঘুচে কাঁটাতার বিহীন মানুষের পৃথিবী হবে। পুঁজিবাদ আর সাম্রাজ্যবাদের দৌরাত্ন্য ধ্বংস হয়ে মেহনতী মানুষের জয় হবে। জীবন-জীবিকা আর জীববৈচিত্র্যের অপরূপ নির্দশন ঘটবে এই ধরণীতে। প্রতিবারের মতো এবারও সেই আশা করি। একটা সুস্থ-সুন্দর পৃথিবী আর মনুষ্যত্ব অর্জিত একটা সমাজ হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

আখলাক ই রাসুল
ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস,
গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

পরিবর্তনেই জাগতিক জীবনের নিয়ম। সময়ের আবর্তে পরিবর্তন হয় আমাদের জীবন।নিজেদেরকে তৈরি করে নিতে সময়ের সাথে সাথে। প্রতিটি বছর নিয়ে আসে পরিবর্তনের বার্তা। নতুন বছরে ভাবনা নিজেকে ঘিরেই। কেননা আমি বিশ্বাস করি আমরা প্রত্যকেই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজেকে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই একটা সমাজকে সমৃদ্ধি করা সম্ভব।

আরও পড়ুন: করোনা চলে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

পরিবর্তনেই জাগতিক জীবনের নিয়ম। সময়ের আবর্তে পরিবর্তন হয় আমাদের জীবন।নিজেদেরকে তৈরি করে নিতে হয় সময়ের সাথে সাথে। প্রতিটি বছর নিয়ে আসে পরিবর্তনের বার্তা। নতুন বছরে নতুন সামাজিক সংগঠণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সামাজিক উন্নয়নে যতটুকু সম্ভব কাজ করে যাবো। নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি আগামী এক বছরে ২০০ বই পড়ার পরিকল্পনাও নিয়েছি।

তানভীর হোসাইন
মার্কেটিং বিভাগ
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর।


সর্বশেষ সংবাদ