জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এন্দেল্লাহ, সম্পাদক মোতাহার

অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ  ও  অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন
অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ও অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাহী পরিষদ-২০২২ নির্বাচনের ১৫টি পদের মধ্যে ১২টি পদে জয় লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’।

নির্বাচনে গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ১৯৩ ভোট পেয়ে সভাপতি ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন ২০১ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভিসি-ট্রেজারার নেই ৬৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৮৫টিতে প্রো-ভিসি

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ থেকে অন্যান্য পদে জয় লাভ করেন সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক ইসমত আরা (প্রাণিবিদ্যা) ও কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক মুহাম্মদ ছায়েদুর রহমান (লোক প্রশাসন)।

এছাড়াও নিবার্হী সদস্যপদে অধ্যাপক এম শামীম কায়সার (আইআইটি), সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), অধ্যাপক বুলবুল আহমেদ (প্রত্নতত্ত্ব), অধ্যাপক মোহাম্মদ নঈম আজিজ আনসারী (ভূগোল ও পরিবেশ), অধ্যাপক মো. আকবর হোসেন (নৃবিজ্ঞান), অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং), অধ্যাপক হাফিজুর রহমান (পরিবেশ বিজ্ঞান), অধ্যাপক সৈয়দা ফাহলিজা বেগম (ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান) জয় লাভ করেছেন।

আরও পড়ুন: ‘হোটেল বয়’ আসিফ এখন জবি ছাত্র

অন্যদিকে নির্বাচনে উপাচার্য বিরোধী আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত প্যানেল ‘শিক্ষক ঐক্য ফোরাম’ মোট ৩টি পদে জয় পেয়েছেন।

উপাচার্য বিরোধী এ প্যানেলের শিক্ষকদের মধ্যে যুগ্ম-সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শাহেদ রানা ও নির্বাহী সদস্য পদে মো. মনোয়ার হোসেন (প্রাণিবিদ্যা), অধ্যাপক মো. সোহেল রানা (ফার্মেসি) নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, শিক্ষকদের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করবো। শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রশাসনকে সহায়তা করবো আমরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমি সর্বদাই একটি সুন্দর শিক্ষক সমিতি চেয়েছি। যাদের মাধ্যমে ২০৪১ সালের লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা যায়। অবকাঠামো ও গবেষণাতে উৎকর্ষ সাধন করা যায়।

আরও পড়ুন: বিশ্বের ৫০০ স্টার্টআপের মধ্যে সেরা বুয়েটের অক্সিজেট

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রত্যেকে তার জায়গা থেকে কাজ করুক। তবে মাঝে মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয় থামিয়ে দেওয়া এবং মুখ থুবড়ে ফেলার রাজনীতি শিক্ষকেরা করে। কিন্তু আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে গঠনমূলক কাজ করতে চাই। কারণ আমাদের প্যানেলের সবাই মেধাবী ও যোগ্য।

অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম নতুন শিক্ষক সমিতির কাছে মেধা ও জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি মানবিকতার চর্চা করতে আহবান জানান।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ৬০৬ ভোটের মধ্যে ৫৭৮টি ভোট কাস্ট হয়েছে। নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল ও স্বতন্ত্র থেকে ৩২ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অফিসার ক্লাবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ