জাবিতে ফিস্টের কুপন নিয়ে ছাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ

জাবির বেগম সুফিয়া কামাল হল
জাবির বেগম সুফিয়া কামাল হল  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিজয় দিবসের ফিস্টের কুপন নিয়ে কয়েকজন ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হল প্রভোস্ট ও কর্মচারীর দ্বারা লাঞ্ছনার শিকার হয়ে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।

জানা যায়, বেগম সুফিয়া কামাল হলের ৪৬ ব্যাচের কয়েকজন ছাত্রী বিজয় দিবসের বিশেষ খাবার (ফিস্ট) এর কুপন সংগ্রহ করতে গেলে দায়িত্বরত কর্মচারীর সাথে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই কর্মচারী তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। পরে প্রভোস্টকে ঘটনাটি জানালে তিনিও ছাত্রীদের ভৎসনা করেন।

আরও পড়ুন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া এত সহজ!

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, ‘১৪ তারিখে বান্ধবীদের দ্বারা কুপন সংগ্রহ করতে গেলে দায়িত্বরত এক কর্মচারী বলে- যার কুপন তাকে স্বশরীরে নিতে হবে। আর ফিস্ট খাওয়ার আগেও কুপন সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু ১৬ তারিখে আর কুপন দেয়নি। এ নিয়ে এক পর্যায়ে ওই কর্মচারী বাজে আচরণ করতে থাকে। অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।

ওই ছাত্রী আরও বলেন, কর্মচারীর খারাপ ব্যবহারের বিষয়টি প্রভোস্টকে জানালে তিনি আমাদের বলে- তোমরা অপমান হওয়ার যোগ্য। তোমরা শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের মতো থাকবা। এছাড়া তিনি আমাদের ধমক দেন।

প্রভোস্টের ভৎসনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। ছাত্রীটি অভিযোগ করেন, অসুস্থ হয়ে পড়ার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই শিক্ষকরা খাবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপর আমার বান্ধবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যায়। পরে দুইজন শিক্ষক এসে কথা বলেন।

আরও পড়ুন- করোনায় পার্কে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ওই হলের ছাত্রীদের অভিযোগ এর আগেও একাধিক বার প্রভোস্ট তাদের সাথে বাজে আচরণ করেছেন। এ নিয়ে হলের ছাত্রীদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ফিস্টের কুপন নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পরে সেটা সমাধানও হয়েছিল। এছাড়া ওই দিন এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। পরে তাকে মেডিকেলে নেয়া হয়। শিক্ষকরা সেখানে তাকে দেখতে গিয়েছিল। মেডিকেল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ওই ছাত্রীকে পরে হলে নিয়ে আসা হয়। পরে ঘটনাটির সমাধান করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে যিনি দুর্ব্যবহার করেছিল সেই কর্মচারী ছাত্রীদের কাছে মাফ চেয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ