চবিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে হাল্ট প্রাইজ ন্যাশনাল রাউন্ড

‘হাল্ট প্রাইজ’ প্রতিযোগিতার পোস্টার
‘হাল্ট প্রাইজ’ প্রতিযোগিতার পোস্টার  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘হাল্ট প্রাইজ’ ২০২৫-এর বাংলাদেশ ন্যাশনাল রাউন্ড। আগামী ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এটি অনুষ্ঠিত হবে।

ন্যাশনাল রাউন্ডে দেশের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ক্যাম্পাস চ্যাম্পিয়ন দল অংশগ্রহণ করবে। ন্যাশনাল রাউন্ডের পর ৮টি দল হাল্ট প্রাইজ গ্লোবাল ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হবে, যা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে। এটি আন্তর্জাতিক এবং অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাজের বৃহত্তর সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী ও লাভজনক ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করবেন।

প্রতিযোগিতায় এবস্ট্রাক্ট রাউন্ড, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল রাউন্ডের মাধ্যমে সেরা দলগুলো নির্বাচিত হবে, যা তাদের নেতৃত্ব, কৌশলগত চিন্তাভাবনা, এবং বাস্তবসম্মত সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

গ্লোবাল ফাইনালে বিজয়ী দল পাবে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার, যা তাদের বিজনেস আইডিয়া বাস্তবে রূপান্তরের জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ।

আরও পড়ুন: ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ‘হাল্ট প্রাইজ এট ইউনিভার্সিটি অফ চিটাগং’-এর মাধ্যমে ২০১৮ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা দক্ষতা গড়ে তোলার পাশাপাশি বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান তৈরিতে সহায়তা করে আসছে।

এ বছর ২ লাখের অধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল রাউন্ডটি বিশ্বের ২৬টি দেশের অংশ, যেখানে ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, মিসর, ঘানা, ভারত, মেক্সিকো, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা দেশ অন্তর্ভুক্ত।

হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনের সিইও লরি ভ্যান ড্যাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল রাউন্ড আয়োজন করা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। এই ইভেন্টগুলোয় শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা ও আশাবাদ আমাদের বৈশ্বিক কমিউনিটিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।’

আরও পড়ুন: জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার ‘অভিষেকে’ বাধা দেখছেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা

উল্লেখ্য, হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতা ২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ গড়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করছে, যা মানুষের জীবনমান ও পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি স্টার্টআপকে কমপক্ষে একটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনে অবদান রাখতে হয়। এ ছাড়া হাল্ট প্রাইজ জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) ও শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করে আসছে।


সর্বশেষ সংবাদ