ঢাবির দুই অধ্যাপককে স্থায়ী ও দুজনকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের 

ঢাবির দুই অধ্যাপককে স্থায়ী ও দুজনকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবিতে  শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ঢাবির দুই অধ্যাপককে স্থায়ী ও দুজনকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন  © ঢাবি প্রতিনিধি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা ও নৈতিক পদস্খলনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আরেকজন অধ্যাপককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া বিভাগের অন্য দুই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানান তারা। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। 

আরও পড়ুন : ঢাবির উর্দু বিভাগের তিন শিক্ষকের অব্যাহতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানানো দুই শিক্ষক হলেন, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ও অধ্যাপক সুমন দাস। তাছাড়া বিভাগের শিক্ষক ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী ও ড. শবনম জাহানকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। 

আরও পড়ুন : আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন

এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘রং চা না দুধ চা, মোশাররফ লুইচ্চা, রং চা না দুধ চা,সুমন দাস লুইচ্চা’, ‘বয়কট বয়কট, মোশাররফ বয়কট বয়কট বয়কট, সুমন দাস বয়কট’-ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

আরও পড়ুন : ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে ‘অভিযানে’ গিয়ে দেখল বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই অনুপস্থিত

ওই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অধ্যাপক মোশাররফ ও সুমন দাসের বিরুদ্ধে বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও কু প্রস্তাব দেওয়ার কথা উঠে এসেছে। শুধু চলমান ৫টি ব্যাচ না এর আগেও তারা নারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্থা করে গেছে। এতদিন শিক্ষার্থীরা মুখ থাকতেও চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছিলো কিন্তু এখন তারা তাদের কুকীর্তির কথা সবার সামনে প্রকাশ করছেন। 

তিনি বলেন, এই দুজন শিক্ষক কোটা সংস্কার আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্থা করেছে। শিক্ষার্থীদের পোস্ট সরিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে নানাভাবে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা সুস্পষ্টভাবে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ ছিলেন। তাই নৈতিক পদস্থলন ও আন্দোলনে বাধ দেওয়ার কারণে তাদেরকে শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছে। তাদেরকে কেউ বিভাগে দেখতে চায় না। তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। 

অন্য দুজন শিক্ষকের ব্যপারে তিনি বলেন, মুশফিক মান্নান ও শবনম জাহান আওয়ামী লীগের দালাল। মুশফিক মান্নান তিনি শিক্ষক হবার পরেও দালালি করে বিআরটিসির কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এখানে থেকে তিনি আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যেতে বিভিন্নভাবে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শবনম জাহানও শিক্ষকদের সাথেও অনেক বেয়াদবি করেছেন। তাছাড়া ২০১৮ সালে ডাকসু নির্বাচনে সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি আওয়ামী লীগ করায় শিক্ষকতা চালিয়ে যান।


সর্বশেষ সংবাদ